• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

অর্থনীতি

নির্বাচনী বছরে ঋণ বিতরণে সতর্ক হোন : অর্থমন্ত্রী

  • প্রকাশিত ২৯ জানুয়ারি ২০১৮

২০১৮ সাল নির্বাচনী বছর হওয়ায় কালো টাকার ছড়াছড়ি হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ব্যাংক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে এ বছর ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘ব্যাংকের ক্ষেত্রে ঋণ ও আমানতের অনুপাত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশে এই অনুপাত সাধারণ মাত্রার চেয়ে উচুঁতে আছে-এটা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। এটা দেখে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার তাদের বিশেষভাবে নজর দিতে হবে, কারণ আপনারা সবাই জানেন এবছর নির্বাচনী বছর। এবছর বাজারে টাকা পয়সা বেশি আসবে-কালো টাকার যথেষ্ট ছড়াছড়ি হতে পারে। তাই সাবধনতা অবলম্বন করতে হবে।’

রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রূপালী ব্যাংকের ব্যবসায়িক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই সতর্কবার্তা দেন।

রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান,অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান,রূপালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্যদের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন,ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অরিজিৎ চৌধুরী,বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এস এম রবিউল হাসান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি মেটাতে আগামী বাজেটেও মূলধনের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন,‘মূলধন স্বল্পতা মোচনে আমরা মোটামুটিভাবে প্রতিবছর ব্যাংকগুলোকে অর্থ দিয়ে থাকি।কেউ কেউ মন্তব্য করেন-করের টাকা এভাবে দেওয়া ঠিক নয়।কিন্তু মূলধন ঘাটতি মেটাতে অর্থ দেওয়া ঠিক-কারন একটি ব্যাংকে সমস্যা হলে পুরো ব্যাংকিং খাতে সমস্যা হয়।আমরা ব্যাংকিং খাতকে ধ্বংস হতে দিতে পারিনা।’

রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি মেটাতে আগামী বাজেটেও অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে বলে তিনি জানান।

ব্যাংক খাতের অবস্থা ভাল নয় বলে যারা মনে করেন-তাদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে সরকারের জ্যেষ্ঠ এই মন্ত্রী বলেন,আমাদের দেশে ব্যাংকিং খাতের যাত্রার শুরু দিকে অবস্থা ভাল ছিল না।মোট ঋণের অর্ধেকই ছিল খেলাপী।সেখানে আমরা অনেক উন্নতি করেছি-এখন সেটা ১১ শতাংশে নেমে এসেছে।তিনি বলেন,বর্তমানে ব্যাংকিং খাতের অবস্থা খারাব নয়।মোটামুটি ভাল।ব্যাংকিং খাত দূর্বল হলে অর্থনীতির যে ভাল অবস্থা, সেটা থাকত না।

মুহিত রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প খাতে (এসএমই) ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন,এসএমই শিল্পকে সম্মান দিতে হবে। তাদের হাত ধরে এগিয়ে নিতে হবে। কারণ এসএমই খাতে বেশি কর্মসংস্থান হয়।

অনুষ্ঠানে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি মেটাতে সরকারের কাছে ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকার মূলধন চান। এর জবাবে অর্থমন্ত্রী আগামী বাজেটে এই ব্যাংককে মূলধন প্রদানের আশ্বাস দেন।

বর্তমানে রূপালী ব্যাংকে ৩৪৬ কোটি টাকা মূলধন রয়েছে। গতবছর ব্যাংকটি ৫৩৮ কোটি টাকার পরিচালন মুনাফা করেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads