• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

অর্থনীতি

চোরাচালানীকে হাতকড়া পরানোর অনুমতি চায় শুল্ক গোয়েন্দা

  • বাসস
  • প্রকাশিত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

চোরাচালানের অপরাধে গ্রেফতার ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শুল্ক গোয়েন্দাদল হাতকড়া পরানোর অনুমতি চায়। এ লক্ষ্যে গত ১১ ফেব্রুয়ারি শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) হাতকড়া ক্রয় এবং তা ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।

বর্তমানে এনবিআর হাতকড়া পরানোর বিষয়ে কোন ধরনের দিক-নির্দেশনা দেওয়া যায়, এ নিয়ে কাজ করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান সাংবাদিকদের বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিমানবন্দর ও চেক পোস্টসমূহে স্বর্ণ এবং অবৈধ মালামাল পাচারের অপরাধে প্রায়শঃ শুল্ক গোয়েন্দারা চোরাচালানকারিদের গ্রেফতার করছে। এরপর ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা, আদালত কিংবা হাসপাতালে নেওয়া হয়। এক স্থান থেকে আর এক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সময় আসামীর হাতকড়া পরা না থাকায় পালিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে আসামী যাতে পালিয়ে যেতে না পারে এজন্য হাতকড়া পরানোর অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। নিরাপত্তার স্বার্থে এনবিআর এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

জ্যেষ্ঠ এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, কাস্টমস আইন, ১৫৬ এর ৫ ধারা মোতাবেক তদন্ত করার স্বার্থে থানায় পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) যে ক্ষমতা ভোগ করে, শুল্ক গোয়েন্দাকে একই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনেও শুল্ক গোয়েন্দাদের আসামী গ্রেফতারের পাশাপাশি তদন্ত করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। সুতরাং আইনে হাতকড়া পরানোর ক্ষমতা দেওয়া আছে-আমরা এখন এনবিআর থেকে তা প্রয়োগের অনুমতি চাই।

সম্প্রতি চোরাচালানের অপরাধে গ্রেফতার হওয়া এক আসামী থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে পালিয়ে যায়। এজন্য ওই সময় আসামীর সঙ্গে থাকা শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। মইনুল খান এ বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন,হাতকড়া পরানো থাকলে ধৃত আসামী হয়ত পালিয়ে যেতে পারতেন না।এজন্য নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা হাতকড়া পরানোর অনুমতি চেয়েছি।

প্রসঙ্গত, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং রাজস্ব সংরক্ষণে শুল্ক গোয়েন্দা প্রতিনিয়ত গুরুত্বপূর্ণ ও দৃশ্যমান কাজ করছে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চেক পোস্টসমূহে স্বর্ণ এবং অবৈধ মালামাল চোরাচালানের দায়ে সন্দেহভাজন পাচারকারীকে আটক এবং আটক পরবর্তী মালামাল শুল্ক গুদামে প্রদানসহ একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হয়।অনেকক্ষেত্রে আসামীদের থেকে পণ্য উদ্ধারে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে নেওয়া ও এক্সরেসহ অন্যান্য স্ক্রিনিং করতে হয় যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

মইনুল খান জানান, বর্তমানে চোরাচালানের বিভিন্ন মামলার তদন্ত ভার শুল্ক গোয়েন্দাদের দেওয়া হচ্ছে। এজন্য চোরচালান নিয়ে কাজ করার ঝুঁকিও এখন আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে এনবিআর আসামীদের হাতকড়া পরানোর অনুমতি দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads