• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

অর্থ ও বাণিজ্য

প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানে প্রণোদনা দেওয়া হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ এপ্রিল ২০১৮

যেসব প্রতিষ্ঠান প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবে সেসব প্রতিষ্ঠানকে আগামী বাজেটে পরীক্ষামূলকভাবে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। গতকাল মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) আয়োজিত ত্রৈমাসিক ভোজসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বহুমুখীকরণের মাধ্যমে যারাই পণ্য রফতানি করবে তাদেরও আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।

এতে স্বাগত বক্তব্য দেন এমসিসিআই প্রেসিডেন্ট নিহাদ কবীর। এ সময় চেম্বারের পরিচালকসহ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, দেশের উন্নয়নে ব্যবসায়ীসহ সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিনিয়োগ, ব্যবসা, আমদানি, রফতানিসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যাতে গতি অব্যাহত থাকে সেদিকেই আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। আমাদের অর্থনীতির যে প্রবৃদ্ধি সেটাকে আরো ২০ বছর আমাদের ধরে রাখতে হবে। আমাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি যেমন বাড়ছে, তেমনি জনগণও বাড়ছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আমাদের দেশে জনগণ ছিল ৭ কোটি। এখন তা বড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটিতে। কিন্তু ওই সময়কার তুলনায় এখনকার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ভালো অবস্থানে রয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে উদ্যোক্তা তৈরি হওয়ায়, বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানের কারণে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তবে বিনিয়োগের অন্যতম প্রধান বাধা হিসেবে করপোরেট ট্যাক্সের উচ্চ হারের কথা অনেকেই বলেছেন। কিন্তু আমাদের জিডিপির তুলনায় রাজস্বের পরিমাণও বাড়াতে হবে। করপোরেট করের হার কমিয়ে কীভাবে রাজস্ব বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। স্বল্প পরিমাণে কর ধার্যের মাধ্যমে করের আওতা বাড়নোর বিষয়টি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার চিন্তা রয়েছে। তবে করপোরেট করের হার কমানো হলে এখন যারা ফাঁকি দিচ্ছেন তাদের অনেকেই তখন তা প্রদান করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

একই আয়ের ওপর বিভিন্ন স্তরে কর দিতে হচ্ছে বলেও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন বলেন, এ বিষয়টি নিয়েও এনবিআর কাজ করছে। আগামী অর্থবছরের বাজেট অন্যান্যবারের মতো হবে না। ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী এবং তারা যেসব সুপারিশ করছে তার একটা প্রতিফলন আগামী বাজেটে থাকবে।

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বাজেট আলোচনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগামী বাজেটে অবকাঠামো, কৃষি, শিক্ষা সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাবে। দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়েও অর্থমন্ত্রী গুরুত্ব দিচ্ছেন।

এমসিসিআই প্রেসিডেন্ট নিহাদ কবীর বলেন, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যেন গতি ফিরে আসে সে ধরনের পদক্ষেপ আগামী বাজেটে দেখতে চাই। দেশের অবকাঠামোগত সমস্যা বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে শিক্ষা, দক্ষতা ও মানবসম্পদ উন্নয়নের দিকেও নজর দিতে হবে। অর্থনৈতিক জোন, হাইটেক আইটি পার্ক, লেদার ভিলেজ, ওষুধ খাত, এপিআই পার্ক ইত্যাদির দিকেও দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ ছাড়া অর্থ আইনের ৩০ ধারার অধীনে নতুন ধারা অন্তর্ভুক্ত করে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানকে তার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রিটার্ন দাখিলের দায়বদ্ধতা থেকে অব্যাহতি, নিট মুনাফার ৮ শতাংশের বেশি-বিদেশি পরামর্শক বা রয়্যালিটি ফি পরিশোধে জটিলতা নিরসন, নতুন ভ্যাট আইন যাতে স্বচ্ছ বিধিবিধানের মাধ্যমে চালু করা হয় সে আহ্বান জানান এমসিসিআই প্রেসিডেন্ট।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads