• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

ফাইল ছবি

অর্থ ও বাণিজ্য

এসকাপের কমিশন সভায় অগ্রগতি তুলে ধরবে বাংলাদেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ এপ্রিল ২০১৮

জাতিসংঘের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) ৭৪তম সভায় বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরবে বাংলাদেশ। থাইল্যান্ডে এসকাপের সদর দফতরে এ কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে ব্যাংককে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে তথ্য ও প্রকাশনা চাওয়া হয়েছে।

আগামী ১১ থেকে ১৬ মে ব্যাংককে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এসকাপের এ সভায় এসকাপের সদস্যভুক্ত দেশগুলো তাদের নিজ নিজ দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্য স্টল ও বুথের মাধ্যমে তুলে ধরবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রের উন্নতির বিষয়গুলোও বিভিন্ন প্রকাশনা-বই, পোস্টার ও ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরা হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ সম্প্রতি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে জাতিসংঘ কর্তৃক উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতির প্রস্তাবনা পেয়েছে। এসকাপের কমিশন সভায় এ সাফল্য তুলে ধরা হবে। বাংলাদেশ মনে করছে গত এক দশকে অর্থনীতির অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। এ সাফল্য পল্লী ও শহরে প্রায় সমান গতিতে হয়েছে। সামাজিক খাতেও অর্জিত হয়েছে অভাবনীয় সাফল্য। এসব সাফল্যের কারণে টেকসই উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। এরই স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসংঘের দ্য কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতির প্রস্তাব দিয়েছে।

সিডিপির মতে, উন্নয়নশীল দেশের মাথাপিছু আয় হতে হবে ১ হাজার ২৩০ ডলার। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন হচ্ছে ১ হাজার ২৭২ ডলার। মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকে উত্তরণের মান হলো ৬৬ বা তার বেশি। এ ক্ষেত্রে সিডিপির হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে আছে ৭২ দশমিক ৮ এবং বিবিএসের হিসাবে ৭২ দশমিক ৯। সবশেষ অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতার সূচকে নির্ধারিত মান হচ্ছে ৩২ বা তার কম। সিডিপির হিসাব অনুসারে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আছে ২৪ দশমিক ৮। তিনটি সূচকেই বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। গত দশকে যেসব দেশ উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে তারা তিনটি সূচক একসঙ্গে অর্জন করতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশই ব্যতিক্রম। এসকাপ কমিশন মেলায় এসব বিষয় তুলে ধরবে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads