• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

ফাইল ছবি

অর্থ ও বাণিজ্য

আন্তর্জাতিক মান অনুসরণে গঠিত হচ্ছে মান কর্তৃপক্ষ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ এপ্রিল ২০১৮

দেশের সব ল্যাবরেটরি, পরীক্ষণ ও সার্টিফিকেশন প্রতিষ্ঠানে অভিন্ন আন্তর্জাতিক মান অনুসরণের লক্ষ্যে গঠিত হচ্ছে মান কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালের মধ্যে এ কর্তৃপক্ষ কার্যক্রম শুরু করবে।

গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড আয়োজিত আন্তর্জাতিক মান বা আইএসও ১৭০২৫:২০০৫ অনুধাবন বিষয়ক অষ্টাদশ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনকালে এ তথ্য জানিয়েছেন শিল্প সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, এর ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আরো সুসংহত হবে।

বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) মহাপরিচালক মো. মনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. এনামুল হক, প্রশিক্ষণার্থী রোকসানা জান্নাত নওরিন ও জাকারিয়া চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

শিল্প সচিব বলেন, বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রফতানি ক্রমেই তীব্র প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হচ্ছে। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশি পণ্যের গুণগতমান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে। বিএবির কার্যক্রম গতিশীল করার ফলে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের রফতানির সক্ষমতা বেড়েছে। চলতি বছর সরকার ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে। বিএবির সক্ষমতা বাড়িয়ে ২০২১ সালের মধ্যে জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান ৪০ শতাংশে উন্নীত করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অ্যাক্রিডিটেড ল্যাবরেটরির মানসনদ ছাড়া পণ্য রফতানি সম্ভব নয় মন্তব্য করে শিল্প সচিব বলেন, ইতোমধ্যে দেশব্যাপী অ্যাক্রিডিটেশন ও মানবিষয়ক প্রচারণা জোরদার করা হয়েছে। ফলে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিএবির পরিচিতি বেড়েছে এবং অ্যাক্রিডিটেশন বিষয়ক ধারণার প্রসার ঘটেছে। বিএবির জনবলের দক্ষতা বাড়ায় এখন বিদেশি প্রশিক্ষক ছাড়াই ন্যূনতম খরচে বাংলাদেশে অ্যাক্রিডিটেশন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ আয়োজন সম্ভব হচ্ছে। বিএবির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ফলে বর্তমানে বাংলাদেশের হিমায়িত চিংড়িসহ অন্যান্য শিল্প পণ্য কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই রফতানি সম্ভব হচ্ছে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী আয়োজিত দেশের সরকারি-বেসরকারি ২৫টি টেস্টিং, ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরি ও মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি, সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং পরিদর্শন সংস্থায় কর্মরত ৩০ জন অ্যাসেসর ও কারিগরি বিশেষজ্ঞ এতে অংশ নিচ্ছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads