• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

শিল্পকলা একাডেমিতে ন্যাশলাল প্রোডা্িকটভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৬ প্রদান অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের মাঝে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ।

ছবি : পিআইডি

অর্থ ও বাণিজ্য

ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যাওয়ার্ড পেল ১২ শিল্প প্রতিষ্ঠান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ এপ্রিল ২০১৮

উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও উৎপাদিত পণ্যে উৎকর্ষ সাধনে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৬ পেয়েছে ১২টি শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠান। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) উদ্যোগে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু গতকাল প্রধান অতিথি হিসেবে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে নির্বাচিত শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কারের ক্রেস্ট তুলে দেন।

পাঁচ ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেড, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড ও আরএফএল প্লাস্টিকস লিমিটেড। মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, প্রাণ ফুডস লিমিটেড ও গ্রাফিকপিপল। ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড ও সিনথেটিক এডেসিভ কোম্পানি লিমিটেড। মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে একাডেমিক বুক হাউজ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ক্যাটাগরিতে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড, ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড ও গাজী ওয়্যারস লিমিটেড।

এবারের পুরস্কারের জন্য বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ২৪টি প্রতিষ্ঠান, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে ৯টি প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে ২টি প্রতিষ্ঠান, মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ক্যাটাগরিতে ৭টি প্রতিষ্ঠান আবেদন জমা দেয়। কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে কোনো আবেদন জমা পড়েনি।

২০১২ সাল থেকে উৎপাদনশীলতায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার দিয়ে আসছে এনপিও। তবে ২০১৪ সালে এ পুরস্কার দেওয়া হয়নি। এবারসহ চতুর্থবারের মতো এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও নবায়নযোগ্য সবুজ জ্বালানি ব্যবহার করে শিল্প কারখানায় সর্বোচ্চ উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শিল্পায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে শিল্পসমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করছে। সরকারের শিল্পবান্ধব নীতি ও উদ্যোগের ফলে দেশে শিল্পায়নের ধারা জোরদার হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতীয় আয়ে শিল্প খাতের অবদান ৩৩ শতাংশ এবং সেবা খাতের অবদান ৫২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। শিল্পসমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে ২০২১ সালের মধ্যে জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে তিনি জানান।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ব্যাংক, বীমা, শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা পশ্চিম পাকিস্তানি ও বিহারিদের হাতে ছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় আজ বাংলাদেশে বড় বড় শিল্প উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। তিনি শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্ব দেন। শিল্প উদ্যোক্তাদের চাহিদামাফিক নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ৩ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে শিল্প, সেবা, কৃষিসহ সব খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্প উদ্যোক্তারা উৎপাদনশীলতা বাড়াতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ, সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন ও বন্দর সুবিধা বাড়ানোর তাগিদ দেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান টি রহমান, এনপিওর পরিচালক এসএম আশরাফুজ্জামান, পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল হক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল ইসলাম চৌধুরী এবং কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. এনায়েত হোসেন বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads