• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

বুধবার সকালে বেনাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শনে আসেন সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অর্থ ও বাণিজ্য

বন্দর পরিদর্শনে শেখ আফিল উদ্দিন এমপি

বন্দরে চুরি বন্ধ করতে হবে

  • বেনাপোল প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ এপ্রিল ২০১৮

সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন বলেছেন, দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল। এই পথ দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হয়, আমদানি-রফতানিকারকদের পণ্য পরিবহনে খরচ কম হয়। সে কারণে এই বন্দর দিয়েই সব ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটাতে চায়। তাই, ব্যবসায়ীদের এ বন্দরের দিকে আরো আকৃষ্ট করতে হলে এখানকার সব ধরনের চুরি বন্ধ করতে হবে। এ বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে এখানকার সব শ্রমিকদের ব্যবহার আরো মধুর করতে হবে।

গতকাল বুধবার সকালে বেনাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে তিনি হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ও বন্দর পরিচালকসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক উন্নয়নমুখী সভায় এ কথা বলেন।

এ সময় বন্দরের শ্রমিক সংগঠনগুলো ও বন্দরের কর্মকর্তারা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে তিনি পায়ে হেঁটে বন্দরের শেড, ইয়ার্ড, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, শ্রমিকদের ক্যান্টিন ব্যবস্থা, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা, নামাজের স্থান, টয়লেটের ব্যবস্থা, আমদানি-রফতানিকারকদের পণ্য লোড-আনলোডের স্থান, বিড়ম্বনার কারণ, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাসহ নানা বিষয় খতিয়ে দেখেন। কিছু কিছু বিষয়ে তিনি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তও দেন বন্দর কর্তৃপক্ষকে।

শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ ট্রাকের চালক, সিঅ্যান্ডএফ বা ট্রান্সপোর্ট মালিক বা কর্মচারীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক বকশিশের টাকা নেওয়া যাবে না। নম্রতার সঙ্গে বকশিশের টাকা নিতে হবে। বিনিময়ে শ্রমিকদের সব স্বার্থসহ বন্দরের প্রয়োজনে যা কিছু করার দরকার তা আমি করব।’

তিনি বলেন, ‘বেনাপোল বন্দরের উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। কারণ এ বন্দরের ওপর হাজার হাজার মানুষের জীবিকা নির্ভর করে। এখান থেকে উপার্জিত টাকায় এসব পরিবারের সন্তান-পরিজনদের বাসস্থান, চিকিৎসা, লেখাপড়া, আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে সৌহার্দ্য সম্প্রীতি, সর্বোপরি বেনাপোল বন্দর থেকে আহরণকৃত বিপুল পরিমাণ রাজস্ব দেশের চাকা সচল রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তাই, এই বন্দরকে উন্নয়ন করতে যা কিছু দরকার, প্রয়োজনে বন্দর ব্যবহারকারীরা আমাকে ব্যবহার করুন। আমার কায়িক পরিশ্রমসহ সব ধরনের সহযোগিতা এমনকি অর্থনৈতিক সুবিধা বেনাপোল বন্দরের উন্নয়নে পাথেয় হয়ে থাকবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম, বন্দর সিবিএ’র সভাপতি জাবেদী বিল্লা, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন মজুমদারসহ বন্দরের সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তা, যশোর জেলা পরিষদের সদস্য ও বন্দরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রোপ্রাইটর অহিদুজ্জামান অহিদ, শার্শা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহিম সরদার, বেনাপোল পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, যুবলীগ নেতা জসীম উদ্দিন, বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের (৮৯১) সভাপতি কলিম উদ্দিন কলি, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানে, ৯২৫-এর নেতা রাজু আহমেদ, বেল্টু সরদার, কামাল হোসেন, নাসির উদ্দিন, আলম সরদার, বাবু সরদারসহ সব শ্রমিক নেতাকর্মীরা।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads