• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

ছবি : সংগৃহীত

অর্থ ও বাণিজ্য

কুড়িগ্রামে আলুর বাজারে চাঙ্গা ভাব

  • কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৪ এপ্রিল ২০১৮

কুড়িগ্রামের আলু এবার যাচ্ছে বিদেশে। স্বল্প পরিসরে কয়েকটি দেশে রফতানি শুরু হওয়ায় আলুর বাজারে চাঙ্গা ভাব লক্ষ করা গেছে। ক্রমাগত লোকসানের মুখে পড়তে থাকা ব্যবসায়ীদের মুখে ফুটেছে হাসি। বর্তমানে মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, রাশিয়াসহ কয়েকটি দেশে আলু রফতানি শুরু হয়েছে। ফলে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক, কৃষি শ্রমিক, ব্যবসায়ী, রফতানিকারক ও পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তবে উদ্যোগ বাড়িয়ে আরো কয়েকটি দেশে আলু রফতানি হলে চাষিরা লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন রফতানিকারক ও কৃষি কর্মকর্তারা

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় এবার আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ হাজার ২৬০ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ৭ হাজার ২৯১ হেক্টর, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১ হেক্টর বেশি।

আলুচাষিরা জানান, গত মৌসুমে আলুতে লোকসান হওয়ার পর নতুন আশায় সরকারি-বেসরকারিভাবে ঋণ নিয়ে অনেকেই আলু চাষে এগিয়ে আসেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয় আশানুরূপ। এ বছর ক্রেতার সঙ্কটে মৌসুমের শুরুতে আলুর বাজার পড়ে গিয়েছিল আশঙ্কাজনক হারে। ক্রেতার অভাবে জমি থেকে আলু তুলতে পারছিলেন না চাষিরা। প্রতিকেজি আলুর দাম ছিল জাতভেদে ৬-৭ টাকা। এ অবস্থায় ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েন আলুচাষিরা। কিন্তু দুই সপ্তাহ ধরে বিদেশে আলু রফতানি বেড়ে যাওয়ায় ক্রমেই বাড়ছে আলুর দাম। এখন আলুর মূল্য কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা বেড়েছে। রফতানির জন্য আলু প্রক্রিয়াজাতকরণের নানা ধাপে বেশ কিছু শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এতে লাভবান হন চাষি ও কৃষি শ্রমিকরা।

আলু রফতানিকারক আরোয়া অ্যাগ্রো ইন্টারন্যাশনালের মার্কেটিং ম্যানেজার নূরে আলম জানান, বর্তমানে স্বল্প পরিসরে শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও রাশিয়ায় আলু রফতানি করা হচ্ছে। যে অর্ডার আছে তাতে নিজস্ব জমিতে উৎপাদিত আলু ছাড়াও কিছু অন্য স্থান থেকে কিনছেন তারা। এতে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আলু বাছাই, গ্রেডিং, ওজন, প্যাকিং, ট্রাকে লোডসহ নানা কাজে দৈনিক ব্যস্ত থাকছেন দুই শতাধিক শ্রমিক। কার্টন তৈরি হচ্ছে সাড়ে ৪ কেজি, ৫ কেজি, ৯ কেজি ও ১০ কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের। এরপর তা পাঠানো হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আবদুর রশিদ সরকার জানান, সরকারি উদ্যোগে আলু রফতানি করা গেলে কৃষক বেশি লাভবান হতেন। এ ছাড়া উচ্চ ফলনশীল ও রফতানিযোগ্য আলুর জাত বেশি করে চাষ করলে রফতানির পরিমাণ বাড়বে এবং কৃষক আরো লাভবান হবেন বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads