• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

বেনাপোল স্থলবন্দর

ছবি: বাংলাদেশের খবর

অর্থ ও বাণিজ্য

পাঁচ দিনের ছুটি

আমদানি-রফতানিতে বিরূপ প্রভাব পড়ার শঙ্কা

  • বেনাপোল প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ এপ্রিল ২০১৮

পবিত্র শবেবরাত, বুদ্ধপূর্ণিমা, মে দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে পাঁচ দিন বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকছে। এতে সীমান্তের দুইপাশের ট্রাকজট আরো বাড়বে। লম্বা ছুটির কারণে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কাঁচামালের সঙ্কট দেখা দিতে পারে। আর ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ৯০ ভাগই আসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। ফলে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে শঙ্কা করছেন বন্দর-সংশ্লিষ্টরা। তবে কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীরা ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করতে পারবেন।

দু’দেশের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস ও বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে বন্ধ হয়ে গেছে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। তবে গতকাল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকলেও আমদানি-রফতানি চলে। আজ রোববার বুদ্ধপূর্ণিমার ছুটিতে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে। আগামীকাল সোমবার আমদানি-রফতানি ও বন্দরের কার্যক্রম চলবে। মঙ্গল ও বুধবার মে দিবস ও পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে সরকারি ছুটিতে আমদানি-রফতানিসহ বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। পরবর্তীতে আগামী বৃহস্পতিবার বন্দরের কার্যক্রম শেষ হয়ে আবারো শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটিতে সবকিছু বন্ধ থাকবে। তবে আমদানি-রফতানি চলবে শনিবার।

বেনাপোলের মতো পেট্রাপোল বন্দরেও ট্রাকজট রয়েছে। স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় বন্দরের ট্রাক টার্মিনাল, পেট্রাপোল পার্কিং ও বনগাঁও টার্মিনালে কয়েকশ’ পণ্যবোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায়। লম্বা ছুটির কারণে এসব পণ্য পেট্রাপোল থেকে বেনাপোল বন্দরে ঢুকবে ছুটি শেষে।

বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা জানান, সরকারি ছুটি ছাড়া অন্যান্য দিন বন্দর ও কাস্টমসে কাজ হলে এবং আমদানি-রফতানি চালু থাকলে ভালো হতো। আসলে ক্যালেন্ডারে ছুটি হয়ে গেছে যেমনভাবে তাতে কারো কিছু করার নেই। ছুটি শেষে দ্রুত পণ্য খালাস দিলে পণ্যজট অনেকটা কমে আসবে বলে জানান তিনি।

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন পেট্রাপোল বন্দর থেকে রফতানিপণ্য নিয়ে আড়াইশ’ থেকে তিনশ’ ট্রাক আসে বেনাপোল বন্দরে। আর বেনাপোল দিয়ে দেড়শ’ থেকে দুইশ’ ট্রাক পণ্য যায় ভারতে। দেশের ৭৫ ভাগ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে। লম্বা ছুটির কারণে বন্দরে পণ্যজট তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। তবে অফিস খুললে বিশেষ ব্যবস্থায় দ্রুত পণ্যচালান ডেলিভারি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বেনাপোল কাস্টম হাউজের ডেপুটি কমিশনার সাঈদ আহমেদ রুবেল বলেন, সরকারি ছুটি থাকলেও শনিবার আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চলবে। ৩০ এপ্রিল ও ৩ মে অফিস খোলা থাকছে। দ্রুত পণ্যচালান খালাস দেওয়া হবে। সরকারি নির্দেশে আমরা ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালাচ্ছি। ৬ মে থেকে আবারো কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসবে এ বন্দরে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads