• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
রোহিঙ্গাদের জন্য আয়বর্ধক কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত

এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার

সংরক্ষিত ছবি

অর্থ ও বাণিজ্য

রোহিঙ্গাদের জন্য আয়বর্ধক কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত

  • সাইফুদ্দিন সাইফ
  • প্রকাশিত ১৭ মে ২০১৮

এক লাখ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরে তোড়জোড় শুরু করেছে সরকার। রোহিঙ্গারা যাতে ভাসানচরে যেতে আগ্রহী হয় সেজন্য ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন করে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর অংশ হিসেবে মহিষ পালন, হাঁস পালন অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে মৎস্য চাষ, কুটির শিল্প, দোকান বা বিক্রয়কেন্দ্র পরিচালনাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আয়বর্ধক কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর বিষয়ক এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভাসানচরে আয়বর্ধন প্রকল্প নিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং সরকারি সংস্থা মিল্ক ভিটাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩ যথাযথ সময়ে ও সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নেরও তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে ভাসানচরে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়ণ-৩ প্রকল্প ইতোমধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ভাসানচরে ১২০টি গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হবে। ২০১৯ সালের নভেম্বরের মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী এর বাস্তবায়ন করছে। 

সভায় ভাসানচরে নির্ধারিত সংখ্যক রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর এবং মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার রূপরেখা নির্ধারণের জন্য একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনেরও সিদ্ধান্ত হয়। এই ওয়ার্কিং গ্রুপে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরাও উপদেষ্টা হিসেবে থাকবে। রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের আগে ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যরা সরেজমিন নোয়াখালীর চরটি পরিদর্শন করবে।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, জাতিসংঘের এজেন্সিসহ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনাকারী সকলের জন্য ভাসানচরে দফতর, আবাসস্থলসহ অন্যান্য সুবিধাদির ব্যবস্থা করা হবে। প্রাথমিক অবস্থায় কয়েকটি সাইক্লোন শেল্টার এসব কাজে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভাসানচরে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ক্যাম্প এবং অগ্নি প্রতিরোধে ফায়ার স্টেশন স্থাপনেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

রোহিঙ্গারা যাতে ভাসানচরে যেতে উৎসাহী হয় সেজন্য অতি বৃষ্টিজনিত ভূমিধস কিংবা পাহাড়ি ঢলে জানমালের যে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে সে বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং বিতরণ করবে সরকার। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোকেও (এনজিও) এ কাজে নিয়োজিত করা হবে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads