আন্তর্জাতিক বাজার এখন জ্বালানি তেলের সরবরাহ চাপ মুক্ত। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে অর্গানাইজেশন অব পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক)। রয়টার্সের এক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সরবরাহ চাপ কমাতে ওপেক ও ওপেক-বহির্ভূত তেল উৎপাদকরা গত বছরের জানুয়ারিতে তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ওপেক-বহির্ভূত দলের নেতৃত্বে ছিল রাশিয়া। এরই ফল হিসেবে পণ্যটির অতিরিক্ত সরবরাহ আর নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় প্রতি ব্যারেল তেলের দাম বেড়ে ৭৮ ডলারে ঠেকেছে, যা ২০১৪ সালের পর সর্বোচ্চ।
গতকাল ওপেকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চে উন্নত দেশগুলোয় তেলের মজুত ৯০ লাখ ব্যারেলে নেমেছে। গত বছরের জানুয়ারিতে এ পরিমাণ ছিল ৩৪ কোটি ব্যারেল। ওপেক বলছে, ভূ-রাজনৈতিক বিষয়, সরবরাহ ঘাটতি ও বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধি এপ্রিলে তেলের দর বাড়তে ভূমিকা রেখেছে। আর সরবরাহ ঘাটতি তৈরিতে সহায়তা করে তেল উৎপাদন কমানোর গৃহীত ‘ডিক্লেয়ারেশন অব কো-অপারেশন’ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন। পাশাপাশি ভেনিজুয়েলার অর্থনৈতিক সঙ্কট ও পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার পদক্ষেপও তেলের দর বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলেছে। ওপেক জানায়, তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ওপেক-বহির্ভূত দেশগুলোর সঙ্গে ডিক্লেয়ারেশন অব কো-অপারেশনের আওতায় সব সময়ই কাজ করতে ইচ্ছুক।