• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে আনা কঠিন : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত

সংরক্ষিত ছবি

অর্থ ও বাণিজ্য

ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে আনা কঠিন : অর্থমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ জুলাই ২০১৮

ব্যাংকের ঋণের সুদহার ৯ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।  তিনি বলেন, আমি শিগগির এটি বাস্তবায়নের জন্য বলেছিলাম। কিন্তু এটি একটি কঠিন টার্গেট। এটি বাস্তবায়নে আরো কিছু সময় লাগবে।  আজ বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠকে ই-পাসপোর্ট অটোমেটেড বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার আওতায় ২ মিলিয়ন পাসপোর্ট ক্রয় এবং ২৮ লাখ পাসপোর্ট বানানোর সরঞ্জাম অর্থাৎ মেশিনপত্র কেনার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

কয়েকটি ব্যাংক সুদের হার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনলেও অনেক ব্যাংক তা করেনি, এতে ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে কি না? জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন- না, এতে কোনো বিশৃঙ্খলা হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক এটি দেখভাল করবে।

গত ২০ জুলাই ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স (বিএবি)। ১ জুলাই থেকে এটি কার্যকর হবে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়।  তবে ওই দিন ব্যাংক হলিডে থাকায় ২ জুলাই থেকে কয়েকটি ব্যাংক এটি কার্যকর করে।

তবে বেশিরভাগ ব্যাংক এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। চলতি সপ্তাহে এসব ব্যাংক ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

৩ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকায় ই-পাসপোর্ট ও মেশিন ক্রয়ের অনুমোদন : ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ই-পাসপোর্ট অটোমেটেড বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার আওতায় ২ মিলিয়ন পাসপোর্ট ক্রয় এবং ২৮ লাখ পাসপোর্ট বানানোর সরঞ্জাম অর্থাৎ মেশিনপত্র কেনার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ফলে পরবর্তী পাসপোর্ট বই বাংলাদেশেই তৈরি করা সম্ভব হবে। জি টু জি (সরকার টু সরকার) ভিত্তিতে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে এসব পণ্য ও সেবা জার্মানি থেকে ক্রয় করা হবে। 

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট অটোমেটেড বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২ মিলিয়ন পাসপোর্ট বুকলেট ক্রয় এবং ২৮ মিলিয়ন পাসপোর্ট তৈরির যাবতীয় উপাদানসহ আনুষঙ্গিক হার্ডওয়ার, সফটওয়ার ও দশ বছরের রক্ষণাবেক্ষণসহ সব সেবা ক্রয়ের একটি প্রস্তাব কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। এ জন্য ব্যয় হবে ৩ হাজার ৩৩৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

ই-পাসপোর্ট সংক্রান্ত প্রকল্পটি গত ৫ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে অনুমোদন লাভ করে। 

যন্ত্রে অপাঠযোগ্য কাগুজে পাসপোর্টের দিন শেষ হয়েছে বেশ আগেই। যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট-এমআরপি) ধারণাও প্রায় শেষ। কারণ যুগ এখন ইলেকট্রনিক বা ই-পাসপোর্টের। এরই মধ্যে বিশ্বের ১১৯টি দেশে চালু হয়ে গেছে এই পদ্ধতি। আগামী ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশেও চালু হতে পারে এই পাসপোর্ট।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads