• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় সমন্বিতভাবে কাজ করায় গুরুত্বারোপ

পরিবেশ, বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অর্থ ও বাণিজ্য

জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় সমন্বিতভাবে কাজ করায় গুরুত্বারোপ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ জুলাই ২০১৮

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলা বজায় রেখে সমন্বিতভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর ব্যবসায়ী নেতারা। তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেহেতু বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের দেশগুলো যথেষ্ট ঝুঁকির সম্মুখীন, তাই এসব ঝুঁকি কমানো এবং তা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসসিসিআই) এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) যৌথ উদ্যোগে গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ব্যবসায়ীরা।

পরিবেশ, বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলামের (মহিউদ্দিন) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এসসিসিআই সভাপতি রুয়ান এডিরিসিংহে, এসসিসিআই-বাংলাদেশের সহসভাপতি মাহবুবুল আলম, সিনিয়র সহসভাপতি ইফতেখার আলি মালিক এবং সহসভাপতি-নেপালের চান্দি রাজ ধাকাল উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সহসভাপতি মো. মুনতাকিম আশরাফ, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালকরা, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এবং জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবেলায় কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ঝুঁকিগুলো মোকাবেলায় বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে। ঝুঁকি হ্রাসে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সৌরশক্তি, সোলার হোম সিস্টেম, উদ্ভাবন, জলবায়ু পরিবর্তন ও কৃষি গবেষণায় আরো বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন বলেও জানান মন্ত্রী। এক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রাইভেট পার্টিনারশিপের (পিপিপি) ওপরও জোর দেন তিনি।

সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রোয়ান এডিরিসং বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দক্ষিণ এশিয়ার কৃষি ও দেশীয় শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক দেশে বন্যা হলে তার প্রভাব গিয়ে পড়ছে অন্য দেশে। তবে খরার ক্ষেত্রে দেখা যায় উল্টো চিত্র। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আঞ্চলিক সমন্বিত উদ্যোগ আরো বাড়ানো দরকার।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ২১ শতকের অন্যতম বড় এক চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। অন্যতম ঝুঁকিপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ায় দারিদ্র্য এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশই প্রথম দেশ হিসেবে ‘জলবায়ু  পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করেছে।

তিনটি সেশনে বিভক্ত দিনব্যাপী এই সেমিনারে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads