• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
বেনাপোলে সাড়ে ৫৬ কোটি টাকার ভ্রমণকর আদায়

মঙ্গলবার সকাল থেকে নতুন বুথ চালু করা হয়েছে

সংরক্ষিত ছবি

অর্থ ও বাণিজ্য

বেনাপোলে সাড়ে ৫৬ কোটি টাকার ভ্রমণকর আদায়

  • বেনাপোল প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৩ আগস্ট ২০১৮

যশোরের বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে গত  অর্থবছরে (২০১৭-১৮) ১১ লাখ ৩১ হাজার ৮৫০ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করেছে। এসব যাত্রীর কাছ থেকে ভ্রমণকর বাবদ রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৬ কোটি ৫৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাসপোর্টযাত্রীদের সেবার মান বাড়াতে ও এ খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে গত ২১ জুলাই বেনাপোল চেকপোস্টের আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে সোনালী ব্যাংকের পাসপোর্টযাত্রীদের ভ্রমণ করের নতুন বুথ উদ্বোধন করেন ব্যাংকের সিইও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। এ সময় ব্যাংক, কাস্টমস, বন্দরের  ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে নতুন বুথ চালু করা হয়েছে। জনবল সঙ্কটের কারণে পাসপোর্টযাত্রীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে অনেক সময়। এ জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ পাসপোর্টযাত্রীরা চেকপোস্ট সোনালী ব্যাংকের বুথে কাউন্টার সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন। 

বেনাপোল সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার হওয়ায় এ পথে যাত্রীদের ভিড় লেগেই থাকে। তার পরও বিভিন্ন মৌসুমে এ পথে যাত্রীর সংখ্যা বাড়ে অস্বাভাবিকভাবে। তাছাড়া কম খরচে যাতায়াত সুবিধারও একটি কারণ বলে মনে করেন যাতায়াতকারী পাসপোর্টযাত্রীরা। স্বাভাবিকভাবে এ পথে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করলেও লম্বা ছুটি, ঈদ বা পূজার সময় তা বেড়ে হয় দ্বিগুণেরও বেশি। কেউবা ডাক্তার দেখাতে, কেউবা আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে কেউবা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আবার কেউবা মালামাল কিনতে এ পথে ভারতে গিয়ে থাকেন। বাংলাদেশি প্রতিটি পাসপোর্টযাত্রীকে (৫ বছরের নিচে বাদে) ৫০০ টাকা হারে ভ্রমণ কর দিতে হয়। অনুরূপভাবে ভারত থেকে আগত প্রতিটি বিদেশি পাসপোর্টযাত্রীকেও ৫০০ টাকা হারে ভ্রমণকর দিতে হয়। আগে ইমিগ্রেশনের ছোট একটি বুথে ২টি কাউন্টারের মাধ্যমে ভ্রমণকর আদায় করা হতো। মাঝে মধ্যে অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপে হিমশিম খেতে হয় ব্যাংকের লোকজনের। জনবল বাড়িয়ে দিয়ে সেটা নিয়ন্ত্রণও করা হতো মাঝে মধ্যে। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে আপাতত দুটি পরে আরো দুটি মোট চারটি কাউন্টারের মাধ্যমে ভ্রমণকর আদায় করা হবে বলে ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে যাত্রীসেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া এ বুথের সংরক্ষিত এলাকায় কোনো বহিরাগত বা পাসপোর্ট দালাল প্রবেশ করতে পারবে না।

এ ব্যাপারে বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার এআরএম রকিবুল হাসান জানান, চেকপোস্ট বুথ থেকে গত অর্থবছরে ভ্রমণকর বাবদ রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৬ কোটি ৫৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। বর্তমানে ভ্রমণকর ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ টার্মিনাল সেবা চার্জ পৃথক কাউন্টারে আদায় করা হচ্ছে। ব্যাংকটির বুথ ইমিগ্রেশন ভবন থেকে স্থানান্তর করা হয়েছে বন্দরের আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে। সেখানে নতুন কাউন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখন থেকে এখানেই আদায় করা হবে ভ্রমণকরের টাকা।

এদিকে যাত্রী হয়রানি নিয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে যারা পাসপোর্টযাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেয় এবং যাত্রী হয়রানি করে সেটা আমার ইমিগ্রেশন অফিসের আওতাভুক্ত নয়। ওটা দেখেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। যদি বন্দর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে তাদের আনসার সদস্যদের দিয়ে ব্যবস্থা নেন, তবে সংরক্ষিত এলাকায় পাসপোর্ট দালাল বা বহিরাগতদের দ্বারা যাত্রীরা নানা হয়রানির হাত থেকে রেহাই পাবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads