• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারির মধ্যেই বাড়ছে জাঙ্ক শেয়ারের দর

ভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ আরো ১৩ কোম্পানিকে চিঠি পাঠায় ডিএসই কর্তৃপক্ষ

সংগৃহীত ছবি

অর্থ ও বাণিজ্য

নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারির মধ্যেই বাড়ছে জাঙ্ক শেয়ারের দর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৭ আগস্ট ২০১৮

পুঁজিবাজারে জাঙ্ক শেয়ার খ্যাত লোকসানি ও উৎপাদন সঙ্কটে থাকা কোম্পানির অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে লেনদেন বন্ধসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কিছু কোম্পানির সন্দেহজনক লেনদেন খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে সংস্থাটি। আর স্টক এক্সচেঞ্জ জাঙ্ক শেয়ারে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে সম্প্রতি পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই দুটি কোম্পানি তালিকাচ্যুত করেছে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সত্ত্বেও আবারো বাড়ছে দুর্বল মৌলভিত্তির জাঙ্ক শেয়ারের দর।

গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দরবৃদ্ধির শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর অধিকাংশই দুর্বল মৌলভিত্তির, যেগুলো বছরের পর বছর রয়েছে লোকসানে। গতকাল ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ, আজিজ পাইপস, সমতা লেদার, কে এন্ড কিউ, দুলামিয়া কটন ও জুটস্পিনের। এর মধ্যে আজিজ পাইপস ছাড়া অন্য কোম্পানিগুলো পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে পারেনি। আর দীর্ঘদিন পর ২০১৭ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে আজিজ পাইপস।

দীর্ঘদিন ধরে লভ্যাংশ না দেওয়া ও উৎপাদনে না থাকা সত্ত্বেও অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে গত ১৮ জুলাই রহিমা ফুড ও মডার্ন ডাইং ইন্ডাস্ট্রিকে তালিকাচ্যুত করে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সময়ে দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ার নিয়ে কারসাজি ও বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে দীর্ঘদিন ধরে লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ আরো ১৩ কোম্পানিকে ব্যবসায়িক সক্ষমতা জানতে চেয়ে চিঠি পাঠায় ডিএসই কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধি ঠেকাতে না পেরে গত ১৬ আগস্ট মুন্নু জুট স্ট্যাফলার্স, বিডি অটোকারস ও লিগ্যাসি ফুটওয়ারের লেনদেন এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিএসইসি। এ ছাড়া অস্বাভাবিক লেনদেনের কারণে মুন্নু সিরামিকস, কে এন্ড কিউ, আজিজ পাইপস, স্টাইল ক্রাফট ও ড্রাগন সুয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং মিলসের লেনদেন স্পট মার্কেটে (নগদ টাকায় কেনাবেচার মার্কেট) স্থানান্তর করে। দুর্বল মৌলভিত্তির অন্য কোম্পানিগুলোর লেনদেনও রাখা হয়েছে বিএসইসির নজরদারিতে।

মূলত দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ারে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক সম্প্রতি বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ারের লেনদেনও রাখা হয়েছে নজরদারিতে। তবে স্টক এক্সচেঞ্জ ও বিএসইসির নজরদারির মধ্যেই আবারো বাড়তে শুরু করেছে এসব জাঙ্ক শেয়ারের দর। গতকাল দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে থাকা সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ, আজিজ পাইপস, সমতা লেদার, কে এন্ড কিউ, দুলামিয়া কটন ও জুটস্পিনের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৫৩ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত। এর মধ্যে লেনদেনের একপর্যায়ে চার কোম্পানির বিক্রেতা পাওয়া যায়নি। স্পট মার্কেটে আজিজ পাইপস, কে এন্ড কিউ দর বেড়েছে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া স্পট মার্কেটে থাকার পরও মুন্নু সিরামিকের দর ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ ও স্টাইল ক্রাফট ৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়েছে।

এ ছাড়া ডিএসই যেসব কোম্পানির ব্যবসায়িক সক্ষমতা জানতে চেয়েছে, গতকাল সেসব কোম্পানির প্রায় সবগুলোর দরই বেড়েছে। তালিকাচ্যুতির ঝুঁকি থাকার পরও এক শ্রেণির বিনিয়োগকারী এসব শেয়ার লেনদেন করছেন। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ব্যবসায়িক সক্ষমতা বিষয়ে তথ্য পাওয়ার পর স্টক এক্সচেঞ্জের মূল মার্কেটে তাদের লেনদেন চালু রাখা হবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ডিএসই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads