• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
যুক্তরাষ্ট্রে এক হ্যাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

উত্তর কোরিয়ার হ্যাকার কে এই হিয়ক

সংগৃহীত ছবি

অর্থ ও বাণিজ্য

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি

যুক্তরাষ্ট্রে এক হ্যাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির ঘটনায় উত্তর কোরীয় এক হ্যাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার পার্ক জিন হিয়ক নামে ওই হ্যাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পাশাপাশি নানা নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। মার্কিন জাস্টিস অ্যান্ড ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, পার্ক জিন হিয়ক একটি বড় হ্যাকার চক্রের সঙ্গে কাজ করতেন। ২০১৭ সালে ‘ওয়ানাক্রাই’ বলে বিশ্বজুড়ে যে ‘র্যানসমওয়্যার’ সাইবার হামলা হয়, সেটি তাদের কাজ বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৪ সালে সনি করপোরেশনের ওপর সাইবার হামলার পেছনেও তারা ছিল। মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাইবার হামলার পেছনেও ছিল এই একই চক্র। এরা ‘ল্যাজারাস গ্রুপ’ নামে পরিচিত। যে চীনা কোম্পানি ‘চুসান এক্সপো’র আড়ালে এই হ্যাকার চক্র কাজ করত তাদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

পার্ক জিন হিয়ক ফেসবুকে ও টুইটারে বিভিন্ন নামে অ্যাকাউন্ট খুলে লোকজনের কাছে এমন সব লিঙ্ক পাঠাত যাতে উত্তর কোরিয়ার নানা ম্যালওয়ার থাকত। যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী অ্যাটর্নি ট্রেসি উইলকিনসন বলেন, ‘এরা ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ কিছু সাইবার হামলার জন্য দায়ী। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাইবার ডাকাতির ঘটনাও আছে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া পদক্ষেপকে ‘বড় অগ্রগতি’ বলে বর্ণনা করেন। বিবিসি বাংলাকে গতকাল শুক্রবার তিনি বলেন, ‘যেহেতু নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে এই অর্থ চুরি হয়েছিল, তাই যুক্তরাষ্ট্রের (গোয়েন্দা সংস্থা) এফবিআই এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশেও সিআইডি এই সাইবার হামলার ঘটনা তদন্ত করছে। তারা সব কিছুই দেখছে। আমরা চাই দোষীরা ধরা পড়ুক।’

তবে এই ঘটনার তদন্তকারী সিআইডির (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) কর্মকর্তা জানান, উত্তর কোরিয়ার সংশ্লিষ্টতার কথা তারা আগেও শুনেছেন, কিন্তু এ ব্যাপারে নিজেদের তদন্তে নিশ্চিত হওয়ার মতো কিছু পাননি। সিআইডির স্পেশাল সুপারিনটেন্ডেন্ট মোল্লা নজরুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সংশ্লিষ্টতা যদি কোনো বিদেশি সংস্থা পেয়ে থাকে, তাদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করব, তাদের প্রমাণগুলো দেখব। আমরা এফবিআই-এর সঙ্গেও বসব।’ তিনি জানান, আগামী সপ্তাহেই ঢাকায় সিআইডি কার্যালয়ে এফবিআই কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

নিজেদের তদন্ত সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় যেহেতু অনেক বিদেশি নাগরিক জড়িত, তাই তদন্তে অগ্রগতির জন্য সেসব নাগরিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। এসব দেশের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে।’ তিনি জানান, ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, ভারত, চীন ও জাপানি নাগরিকদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads