• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
এসডিজি বাস্তবায়নে বড় চারটি চ্যালেঞ্জ

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)

ছবি : ইন্টারনেট

অর্থ ও বাণিজ্য

এসডিজি বাস্তবায়নে বড় চারটি চ্যালেঞ্জ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে চারটি বিষয়কে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি, সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার, গণমাধ্যম ও তথ্যপ্রযুক্তির ভূমিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপপ্রয়োগ। গতকাল এসব কথা জানান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) আবুল কালাম আজাদ।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বেসরকারি খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘অন্যান্য চ্যালেঞ্জ থাকলেও বর্তমানে সন্ত্রাসবাদ, সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার, গণমাধ্যম ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং সামাজিকমাধ্যমকে আমরা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি।’

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন কয়েক দিন আগে ছোট্ট একটি ঘটনা কতটা প্রভাবিত করেছে সারা দেশকে। সেটাকে আমি ছোট করছি না, কিন্তু সেখানে নেগেটিভ প্রচারণা ছিল বেশি। এমন পরিস্থিতি টেকসই উন্নয়নের জন্য বড় বাধা হতে পারে। কী করে এসব মোকাবেলা করা যায়, সেটা বেশি খেয়াল রাখতে হবে।’

প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের ফলে বেকার নয় বরং কর্মস্থান বাড়বে উল্লেখ করে এ সমন্বয়ক বলেন, আমরা এখন স্যাটেলাইটের যুগে প্রবেশ করেছি। আর সেখানে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। অনেকে মনে করেন, উন্নত প্রযুক্তির কারণে কর্মসংস্থান কমবে, সেটা ভুল। এমন কথা কম্পিউটার দেশে আসার পরও বলা হয়েছিল। কিন্তু তা না হয়ে, কম্পিউটার নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি করেছে।

এদিকে গোলটেবিলে স্থায়ী বিদেশি বিনিয়োগকে আগ্রহী করে তুলতে দীর্ঘমেয়াদি কর ব্যবস্থা চালুর আভাস দিয়ে এ সমন্বয়ক বলেন, ‘বছর বছর ট্যাক্স-ভ্যাট পরিবর্তন হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সে দেশের প্রতি আগ্রহী হয় না। আমরাও সে সমস্যায় আছি। এ কারণে একটি দীর্ঘমেয়াদি কর ব্যবস্থা চালুর জন্য এনবিআরকে বলা হয়েছিল। যতটুকু জানি সেটা নিয়ে এনবিআরের একটি টিম কাজ শুরু করেছে।’

গোলটেবিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম ও মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি নিহাদ কবীর। গোলটেবিলে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ। এ ছাড়া মুক্ত আলোচনায় ব্যবসায়িক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

নাজনীন আহমেদ তার প্রবন্ধে এসডিজি অর্জনে বেসরকারি খাতের ভূমিকা উল্লেখ করে বলেন, গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশের জিডিপি ব্যয়ের ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশের মধ্যে বেসরকারি খাতে হয়েছে ৬৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর বিনিয়োগোর মোট ৩০ দশমিক ৫১ শতাংশের মধ্যে বেসরকারি খাতের অবদান ২৩ দশমিক ১ শতাংশ। অর্থাৎ এসডিজি বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতের ভূমিকাও সবচেয়ে বেশি।

নিহাদ কবীর বলেন, সরকারি বেসরকারি উভয় খাতের টেকসই উন্নয়নে কর্মসংস্থানমূলক শিক্ষার বড় ভূমিকা রয়েছে। গতানুগতিক শিক্ষার মাধ্যমে তা সম্ভব নয়। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি মাথায় রেখে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।

মাহবুবুল আলম বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতগুলোকেও এখন থেকেই সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করা দরকার। সে ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলো বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। যদিও কয়েকটি সংগঠন সেভাবেই কাজ শুরু করেছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads