• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
রানার অটোমোবাইলসের শেয়ারের ‘কাট অফ’ প্রাইস ৭৫ টাকা

রানার অটোমোবাইলসের লোগো

সংগৃহীত ছবি

অর্থ ও বাণিজ্য

রানার অটোমোবাইলসের শেয়ারের ‘কাট অফ’ প্রাইস ৭৫ টাকা

৬৯১ কোটি টাকার শেয়ার কেনার প্রস্তাব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের অনুমোদন পাওয়া রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের শেয়ারের ‘কাট অফ’ প্রাইস (প্রান্তসীমা মূল্য) নির্ধারণ হয়েছে ৭৫ টাকায়। বুক বিল্ডিং পদ্ধতির নিলাম প্রক্রিয়ায় নিলামে অংশগ্রহণকারী যোগ্য বিনিয়োগকারীরা টানা তিন দিনের নিলাম শেষে গতকাল রানারের শেয়ারের কাট অফ প্রাইস নির্ধারণ করেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

নিয়মানুযায়ী বিডিংয়ে (নিলাম) শেয়ারের যে কাট অফ প্রাইস নির্ধারণ হয়েছে, তার চেয়ে ১০ শতাংশ কম দরে অর্থাৎ ৬৭ টাকা ৫০ পয়সায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) শেয়ার বরাদ্দ পাবেন। তবে ফ্র্যাকশন (ভগ্নাংশ) থাকায় প্রতি শেয়ারের বরাদ্দ মূল্য ৬৭ টাকা কিংবা ৬৮ টাকা হতে পারে।

পুঁজিবাজার থেকে রানার অটোমোবাইলস ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এর মধ্যে ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। বরাদ্দ মূল্য ৭৫ টাকা হিসাবে এ কোম্পানির ৮৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩টি শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। অবশিস্ট শেয়ার আইপিওতে লটারির মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বরাদ্দ দেওয়া হবে।

রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের শেয়ারের কাট অফ প্রাইস নির্ধারণে গত সোমবার বিকাল ৫টা থেকে শুরু হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত টানা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। নিলামে সর্বমোট ৫৯২টি প্রস্তাবে ৬৯১ কোটি ২৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০০ টাকার শেয়ারের ক্রয়াদেশ আসে। তবে বুক বিল্ডিং পদ্ধতির নিয়মানুযায়ী, নিলামে অংশগ্রহণকারীদের দর প্রস্তাবের ক্রমযোজিত মূল্য (কিউমুলেটিভ ভ্যালু) ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকা শেষ হয় প্রতি শেয়ার ৭৫ টাকায়। এর ফলে রানার অটোমোবাইলসের ‘কাট অফ’ প্রাইস নির্ধারণ হয় ৭৫ টাকায়।

চার দিনের টানা নিলাম প্রক্রিয়া পর্যালোচনায় দেখা যায়, রানার অটোমোবাইলসের শেয়ারের সর্বোচ্চ দর ওঠে ৮৪ টাকায়, আর সর্বনিম্ন ২৫ টাকায়। আর নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যকের প্রস্তাব ছিল প্রতি শেয়ার ৫০ টাকায়। নিলামে অংশগ্রহণকারী ১২৩টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী প্রতি শেয়ার ৫০ টাকা হিসেবে ২ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার শেয়ার কেনার প্রস্তাব দেয়, যার মোট মূল্য ছিল ১৪৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর ৫৫ টাকায় শেয়ার কিনতে ৭৮টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব দেয়, যার নিলাম মূল্য ছিল ৯৫ কোটি ৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। নিলামে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ার বরাদ্দকৃত কোটার বিপরীতে মোট ১৫৮৩ শতাংশ শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে।

গত ১০ জুলাই রানার অটোমোবাইলসকে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারের প্রান্তসীমা মূল্য নির্ধারণে অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে, যা দিয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংকঋণ পরিশোধ ও আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করা হবে।

২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, রানার অটোমোবাইলসের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) ৫৫ টাকা ৭০ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতীত) ৪১ টাকা ৯৪ পয়সা। কর-পরবর্তী নিট মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৩ টাকা ৩১ পয়সা। এ কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।

২০১৬-১৭ হিসাব বছরে রানার অটোমোবাইলসের সমন্বিত বিক্রির পরিমাণ ছিল ৬৪৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, যা আগের হিসাব বছরের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানির বিক্রি বাড়লেও আনুপাতিক হারে মুনাফা বাড়েনি। ২০১৬-১৭ হিসাব বছরে কোম্পানির পরিচালন মুনাফা ছিল ৮০ কোটি টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি। ২০১৬-১৭ হিসাব বছরে রানারের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয় ৩৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads