• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
বাংলাদেশের পোশাক কারখানা নিরাপদ

মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট

সংরক্ষিত ছবি

অর্থ ও বাণিজ্য

বিদায়ী সংবর্ধনায় বার্নিকাট

বাংলাদেশের পোশাক কারখানা নিরাপদ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোকে বিশ্বের সবেচেয়ে নিরাপদ কারখানা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট। দেশের পোশাক খাতের সংস্কার কার্যক্রমের প্রশংসা করে বার্নিকাট এই মন্তব্য করেন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর হাতিরঝিলে তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ’র ভবনে এক বিদায়ী সংবর্ধনায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে দেশের পোশাক শিল্পের এ অগ্রগতির সংবাদ বহির্বিশ্বে প্রচারে ভূমিকা পালনের প্রতিশ্রুতি দেন বার্নিকাট। তবে পোশাক শিল্পের চলমান সংস্কার দ্রুত শেষ করা ও অগ্রগতি ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ক্রেতাজোট অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্সের বিশেষজ্ঞ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশের পোশাক শিল্পকে সামনে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ‘কষ্টার্জিত অগ্রগতি ধরে রাখার জন্য রেমিডিয়েশন কোঅর্ডিনেশন সেল (আরসিসি) সক্ষম না হওয়া পর্যন্ত ক্রেতাদের পরামর্শ মানতে হবে।’ এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্সের প্রস্তাবিত সেফটি মনিটরিং অরগানাইজেশনের (এসএমও) কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শ্রম অধিকারে অগ্রগতি কম।’ এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমনীতি মেনে চলার ওপর জোর দেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি ছাড়াও সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান, সহসভাপতি মোহাম্মদ নাছির, পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন, রেজোয়ান সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের হাতে সেলাই মেশিন আকৃতির একটি ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।

পোশাক খাতের কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকদের নায্য মজুরি নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাকের ‘নায্যমূল্য’ চেয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে বার্নিকাটের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিজিএমইএ’র সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে ৮ বছরে শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে ৩৮১ শতাংশ। কয়েক বছরে কর্মপরিবেশের উন্নতি করতেও উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করেছেন বড় অঙ্কের অর্থ। অথচ চার বছরে তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা বাংলাদেশি পোশাকের দাম না বাড়িয়ে উল্টো কমিয়েছে ১১ দশমিক ৭২ শতাংশ।’

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলায় উৎপাদিত সুতা এবং কাপড়ে তৈরি করা পোশাক রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছেন সিদ্দিকুর। তৈরি পোশাককে অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধার (জিএসপি) অন্তর্ভুক্ত করতেও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে অনুরোধ জানান। সিদ্দিকুর বলেন, ‘জিএসপি ফেরত দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বেঁধে দেওয়া সব শর্ত পূরণ করা হয়েছে। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব সংলাপ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা কাঠামো চুক্তিসহ (টিকফা) অন্যান্য ফোরামে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।’

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads