• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের সড়ক উন্নয়নে আড়াইশ কোটি টাকার প্রকল্প

নির্মাণাধীন পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র

সংগৃহীত ছবি

অর্থ ও বাণিজ্য

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের সড়ক উন্নয়নে আড়াইশ কোটি টাকার প্রকল্প

  • জাহিদুল ইসলাম
  • প্রকাশিত ২১ অক্টোবর ২০১৮

পটুয়াখালীর পায়রায় প্রক্রিয়াধীন ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে আগামী বছরে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে যাতায়াত ও ভারি যন্ত্রপাতি পরিবহনের সুবিধা নিশ্চিত করতে ৩ দশমিক ৪০ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করতে ১৫৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয় ধরে প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয় ২০১৬ সালের শেষে দিকে। বিদ্যুৎ বিভাগের প্রস্তাবটি কয়েক দফায় ফেরত পাঠায় পরিকল্পনা কমিশন। সময়ের ব্যবধানে একই প্রকল্পের ব্যয় উঠেছে ২৫০ কোটি ৬২ লাখ টাকায়। অনুমোদনের আগেই ৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বাড়তি ব্যয়ের প্রকল্পটি আগামী মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে। এ প্রকল্পে প্রতিকিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করতে ব্যয় হবে প্রায় ৭২ কোটি টাকা।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। ভারী যন্ত্রপাতি পরিবহনের ব্যবস্থা না থাকায় এ প্রকল্পের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ পরিস্থিতির অবসানে নতুন প্রকল্পের আওতায় ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে। সড়কের দুই পাশে থাকবে পৃথক সার্ভিস রোড। নির্মাণ করা হবে ৯টি কালভার্ট। এ লক্ষ্যে অধিগ্রহণ করা হবে ৫০ একর ভূমি।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের শেষের দিকে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে এলে বাস্তবায়নের দায়িত্ব সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে ন্যস্ত করতে পরিকল্পনামন্ত্রী শুরুতেই তা ফেরত পাঠান। ২৩৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয় ধরে পুনর্গঠিত প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের ২৯ মে অনুষ্ঠিত ওই সভায় ৭৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা বাড়তি ব্যয়ের কারণ জানতে চাওয়া হয়। আবারো ফেরত পাঠানো হলে নতুন প্রস্তাব কমিশনে আসে গত মাসে। এ প্রস্তাবে ব্যয় ধরা হয় ২৫৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। ২০১৫ সালের রেট শিডিউলে তৈরি করা মূল প্রকল্পে ২০১৮ সালের শিডিউল অনুসরণ করায় প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে বলে সভায় জানানো হয়। পরবর্তী সময়ে প্রকল্পের ব্যয় নামিয়ে আনা হয় ২৫০ কোটি ৬২ লাখ টাকায়।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নওপজেকো এবং চীনের সরকারি সংস্থা চীনা ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে গঠিত বাংলাদেশ চীনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) নামে একটি কোম্পানি পায়রায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ করছে। এ কেন্দ্রে সহজে যাতায়াত ও ভারী মালামাল পরিবহনের জন্য উন্নতমানের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) প্রায় ২৭ কিলোমিটার উপজেলা রাস্তা এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম।

প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়, এ সড়ক পথে ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এ কারণে ঢাকা-কুয়াকাটা রোডের রজপাড়া নামক স্থান হতে টিয়াখালী ব্রিজ পর্যন্ত এলজিইডির আনুমানিক ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার রাস্তাকে সার্ভিস লেনসহ চার লেনে উন্নীত করা হবে।

এ বিষয়ে মতামত দিতে গিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিস বলেন, ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন সহজ করতে ঢাকা-কুয়াকাটা হাইওয়ে থেকে টিয়াখালী ব্রিজ পর্যন্ত সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে। এর ফলে ওই এলাকার জনসাধারণের যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হবে। সব কিছু বিবেচনায় প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads