• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
বীমা ঘাটতি থাকায় ‘হুমকিতে বাংলাদেশ’

প্রতীকী ছবি

অর্থ ও বাণিজ্য

বীমা ঘাটতি থাকায় ‘হুমকিতে বাংলাদেশ’

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৫ অক্টোবর ২০১৮

বীমা ঘাটতি থাকায় বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দুর্যোগপ্রবণ উন্নয়নশীল দেশগুলো ঝড়, বন্যা ও ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ডয়েচে ভেলে।

লন্ডনভিত্তিক ইন্স্যুরেন্স মার্কেট লয়েডস গত সোমবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিশ্বব্যাপী ১৬৩ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদের প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিপরীতে ইন্স্যুরেন্স নেই, যা জীবিকা ও সমৃদ্ধির জন্য হুমকি। ২০১২ সাল থেকে ইন্স্যুরেন্সবিহীন সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৩ শতাংশ কমেছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহ বিভিন্ন দুর্যোগে খুব বেশিমাত্রায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকিতে থাকা এবং ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার তহবিল সংগ্রহে সীমিত সামর্থ্যের অনেক দেশেই খুব কম ইন্স্যুরেন্স আছে।

লয়েডসের চেয়ারম্যান ব্রুস কার্নেগি-ব্রাউন এক বিবৃতিতে বলেন, যদি ইন্স্যুরেন্স না থাকে তাহলে অর্থনীতি ও মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের অনেক বেশি প্রভাব পড়তে পারে।

উদীয়মান ও স্বল্প আয়ের দেশগুলোই প্রধানত বৈশ্বিক ইন্স্যুরেন্স ঘাটতির জন্য দায়ী বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, উন্নয়নশীল দেশগুলোর চেয়ে ধনী দেশগুলোতে ইন্স্যুরেন্স পেনিট্রেশন হার (জিডিপিতে শতকরা হারে বীমার অবদান) দ্বিগুণ। বাংলাদেশ, ভারত, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, মিশর ও নাইজেরিয়ায় এই হার ১ শতাংশেরও কম।

বীমা না থাকলে দুর্যোগের পর ক্ষয়ক্ষতি পূরণে সরকারি তহবিল থেকে অর্থ দিতে হয়, এটা দরিদ্র দেশগুলোর জন্য একটি সমস্যা। কারণ, পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দেওয়া তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।

‘প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও বীমা না থাকাকে অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করা এবং বৈশ্বিক অসাম্য টিকিয়ে রাখার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে দেখা যেতে পারে।’

লয়েডসের প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিরাট অংশে আরো গুরুতর, ঘন ঘন ও ক্ষয়ক্ষতি সৃষ্টিকারী প্রাকৃতিক দুর্যোগ হওয়ায় বিষয়টি উদ্বেগজনক।

বিগত দশকে গত বছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এখন বছরে দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৬৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সম্পদের দুর্যোগকালীন বীমা না করার পেছনে তা অনেকের জন্য বেশি ব্যয়বহুল হওয়ার কথা উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। এছাড়া বীমার মূল্য অনুধাবনের সীমাবদ্ধতা এবং বীমা কোম্পানির ওপর আস্থার সঙ্কট পলিসি বিক্রির ক্ষেত্রে অন্তরায় বলে এতে বলা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্যোগ সহনশীলতায় বিনিয়োগ এবং বীমা এই দুটি একসঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে পারবে।

গবেষণায় দেখা গেছে, দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে ১ ডলার বিনিয়োগ করলে তা পুনর্বাসনের ৪ ডলার খরচ কমিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads