• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
সাত দেশে রফতানি হচ্ছে টালি

সংগৃহীত ছবি

অর্থ ও বাণিজ্য

সাত দেশে রফতানি হচ্ছে টালি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ অক্টোবর ২০১৮

মোংলা সমুদ্রবন্দর দিয়ে সাত দেশে মাসে গড়ে ৫০ হাজার ডলার মূল্যের মাটির টালি রফতানি হচ্ছে। মুরারীকাটি ও শ্রীপতিপুরে মাটির কারিগররা তৈরি করছেন এসব বাহারি টালি। বিশটিরও বেশি টালি তৈরির কারখানা রয়েছে সেখানে। টালি শিল্পের জন্য সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার মুরারীকাটি ও শ্রীপতিপুর স্বনামেই পরিচিতি পেয়েছে।  কলারোয়ার এ এলাকার নাম হয়ে গেছে ইতালি নগর। এ ইতালি নগর বিদেশ থেকে নিয়ে আসছে ডলার ও ইউরো। এসব কারখানায় প্রতিদিন অন্তত ৫০০ লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। ৱ

স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০০৩ সালে এ মাটির টালি প্রথমে রফতানি হয় ইতালিতে। রুহুল আমীন নামে এক ব্যবসায়ী প্রথমে টালি রফতানি করেন। এরপর আরনো এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট, শুভ ট্রেড লিমিটেড, এফএইচ খান লিমিটেড, মা কটেজ, নিকিতা ইন্টারন্যাশনাল, কটো ইনোভেটর, জে কে ইন্টারন্যাশনাল, পলো ইপো অরগানিক, ডি চন্দ্র পাল নামক প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করছে। এসব প্রতিষ্ঠান ইতালি, দুবাই, ফ্রান্স, ইউ কে, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসে তাদের টালি রফতানি করছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো খুলনা সূত্রে জানা যায়, এ বছরের জুন মাসে ৩০ হাজার ১৫২ ডলার, জুলাই মাসে ৫৬ হাজার ৩৫৫ ডলার, আগস্টে ৬১ হাজার ৮৪২ ডলার, সেপ্টেম্বরে ৫২ হাজার ৩৬৪ ডলার, একই মাসে ১৪ হাজার ৪৮৯ ইউরো মূল্যের টালি বিদেশে রফতানি হয়েছে। জে কে ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) আরিফুল ইসলাম জানান, বিদেশিরা এখানকার টালি ঘরের মেঝে ও দেয়ালে ব্যবহার করছেন। দুবাইয়ে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি পিস টালি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনাও এখানকার টালি কারখানা পরিদর্শন করেছিলেন। পরিদর্শনকালে তিনি পালপাড়ার বিভিন্ন ডিজাইনের টালি দেখে খুবই সন্তোষ প্রকাশ করেন।

কাররা এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট প্রাইভেট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী রুহুল আমিন জানান, তিনি ইতালিতে টালি রফতানির জন্য ভালো মাটি খুঁজতে থাকেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। অবশেষে তার সেই কাঙ্ক্ষিত মাটির সন্ধান পান এ মুরারীকাটি এলাকাতেই। রুহুল আমিনই সর্বপ্রথম এ এলাকায় রফতানিযোগ্য টালি ব্যবসার পথ দেখান।

কলারোয়া উপজেলা টালি মালিক সমিতির সভাপতি ও ক্লে টাইলস ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী গোষ্ঠ চন্দ্র পাল জানান, ১৯৪৭ সাল থেকে তারা টালি তৈরি করছেন। তাদের পূর্বপুরুষরাও এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি জানান, গত বছর বিদেশে টালি রফতানি করে এখানকার কারখানা মালিকরা আয় করেছেন প্রায় ১২ কোটি টাকা। গোষ্ঠ চন্দ্র পাল বলেন, ‘ইউরোপের বিভিন্² দেশে দিন দিন আমাদের তৈরি করা টালির চাহিদা বাড়ছে।

তবে টালি কারখানার সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ায় স্টক থেকে যাচ্ছে বেশি। প্রতিবছর এখান থেকে ৩০০-৪০০ কন্টেইনার টালি মোংলা দিয়ে ইতালি যায়। বছরে ৬ থেকে ৭ মাস টালি তৈরি ও বিক্রি হয়। সাধারণত বছরের অক্টোবর মাস থেকে শুরু হয় টালি তৈরির মৌসুম। চলে মে-জুন পর্যন্ত। বাকি সময় বর্ষাকাল থাকায় টালি তৈরি করা যায় না।’

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads