• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
পল্লী সড়ক উন্নয়নে ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা দেবে এডিবি

সংগৃহীত ছবি

অর্থ ও বাণিজ্য

পল্লী সড়ক উন্নয়নে ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা দেবে এডিবি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৮ নভেম্বর ২০১৮

সারা বছর ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ। পল্লীর মাত্র ২৮ শতাংশ সড়ক বর্ষায় ব্যবহারের উপযুক্ত থাকে। ইউনিয়ন পর্যায়ের ৮৪ শতাংশ সড়ক এখনো কাঁচা। আর উপজেলা পর্যায়ে কাঁচা সড়কের হার ৩৩ শতাংশ। যাতায়াত অবকাঠামোর ত্রুটিতে উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত গ্রামের মানুষ। ২০২৩ সালের মধ্যে গ্রামের ৮০ শতাংশ সড়ক সারা বছর ব্যবহারের যোগ্য করতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে ২০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। সংস্থার বোর্ড সভায় ইতোমধ্যেই এ ঋণের প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। এডিবির সদর দফতর ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বুধবার এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, পল্লী সংযোগ উন্নয়ন শীর্ষক একটি প্রকল্পে এডিবির এ অর্থ ব্যয় করা হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ করতে প্রকল্পে ব্যয় হবে ২৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। এতে এডিবি নমনীয় ঋণ দিচ্ছে ১০ কোটি ডলার। এতে নিয়মিত ঋণ হিসেবে আরো ১০ কোটি ডলার দেবে সংস্থাটি। আর সরকারের তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে ৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। এর আওতায় ৩৪ জেলার ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নে কাজ করা হবে। ফলে উন্নত হবে পল্লীর আরো ৪০ শতাংশ সড়ক। প্রায় ৫ কোটি ১৫ লাখ কৃষি নির্ভর মানুষ এর সুফল পাবে বলে ধারণা দিয়েছে এডিবি।

প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় এডিবির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ লি মিং তাই বলেন, কৃষি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশে পল্লী সড়ক বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খৃষি খাতের হাত ধরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৫ শতাংশ আসলেও এ খাতে মোট শ্রমশক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। এডিবির অর্থায়নে নেওয়া প্রকল্পটি সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় নেওয়া পল্লী সড়ক উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে। এর ফলে পল্লী অঞ্চলের মানুষের আয় বাড়বে। অর্থনৈতিক উন্নতিতে কৃষির অবদান বাড়াতে প্রকল্পটি ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি মনে করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ এখনো পল্লীতে বসবাস করেন। তাদের অধিকাংশই কৃষিতে নির্ভরশীল। পল্লীর নাজুক পরিবহন ব্যবস্থা, বাজারে অংশ নেওয়ার পর্যাপ্ত সুযোগের অভাব, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় আর জলবায়ু পরিবর্তনের মতো কয়েকটি দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশের কৃষি খাত পিছিয়ে আছে।

প্রকল্পের আওতায় ৩৪ জেলা নির্বাচনে ২০১৭ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এডিবি। জনসংখ্যার পরিমাণ, কৃষির সম্ভাবনা, কৃষি ফার্মের সংখ্যা ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়ে প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার সড়ক নির্বাচন করা হয়েছে। এসব সড়কে বিভিন্ন ট্রাফিক চিহ্ন, পাহারা চৌকি, স্পিড ব্রেকারের মতো নিরাপত্তামূলক উদ্যোগও থাকবে। কাজ শেষে পাঁচ বছর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের শর্তে এসব সড়ক নির্মাণ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads