• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার জন্য ১ কোটি ২০ লাখ ডলার দিচ্ছে ‘এডুকেশন ক্যানট ওয়েইট’

সংগৃহীত ছবি

অর্থ ও বাণিজ্য

রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার জন্য ১ কোটি ২০ লাখ ডলার দিচ্ছে ‘এডুকেশন ক্যানট ওয়েইট’

  • বাসস
  • প্রকাশিত ১৩ নভেম্বর ২০১৮

রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার জন্য ইউনেস্কো, ইউএনএইচসিআর ও ইউনিসেফ-কে ১ কোটি ২০ লাখ ডলার দিচ্ছে ‘এডুকেশন ক্যানট ওয়েইট (ইসিডব্লিউ)।’

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলার অংশ হিসেবে তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয় কমিউনিটির শিশু ও কিশোরসহ ৮৮ হাজার ৫০০ শিশু-কিশোরকে শিক্ষিত করে তুলতে বড় ধরনের শিক্ষা সহায়তা হিসেবে এই তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

শিক্ষার জন্য একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা নিশ্চিত করতে এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা পাওয়ার সুযোগ অব্যাহত রাখতে ইউনিসেফ, ইউনেস্কো, ইউএনএইচসিআরকে এই তহিবল দিচ্ছে ইসিডব্লিউ।

ইউএনএইচসিআরের আঞ্চলিক প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশে ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধির দায়িত্বে থাকা জেমস লিঞ্চ এ বিষয়ে বলেন, ‘যে কোনো পরিস্থিতিতে শিক্ষা একটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ। রোহিঙ্গা সংকটের মধ্যে শিক্ষা আরও বড় ভূমিকা রাখছে। এটা শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করছে। একই সঙ্গে এটা খুবই অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে বসবাসরত শিশু ও তরুণদের জীবনের জন্য একটি আশার আলো। এদের ভবিষ্যতের জন্য ইসিডব্লিউ গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ করছে।’

এর আগে আজ ৫০ জন শিশু, বাবা-মা, শিক্ষক এবং সরকার, জাতিসংঘ ও এনজিও প্রতিনিধির উপস্থিতিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইসিডব্লিউ’র সহায়তাপ্রাপ্ত একটি শিক্ষা কেন্দ্রে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার বলেন, গত বছরজুড়ে শরণার্থী শিবিরের শিশুদের ক্লাসে যোগদানের ক্ষেত্রে আমরা অসাধারণ পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। যে সব শিশু নীরব এবং একাকী থাকতো তারা এখন অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে, একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশে তারা কিছু নতুন দক্ষতা শিখেছে এবং স্বাভাবিকতার ধারণা অর্জন করেছে।

মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কয়েক বছরব্যাপী ইসিডব্লিউর অর্থায়নের মাধ্যমে পেশাগত উন্নয়ন প্রকল্প থেকে দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষক উপকৃত হবে।

এই সংকটের শুরু থেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষা সেবা কার্যক্রম চালু করতে ইসিডব্লিউ ৩০ লাখ ডলারের অর্থ সহায়তা দেয়। আগের সেই সহায়তার ধারাবাহিকতায় এবং ইসিডব্লিউ শিক্ষা সহজতর করতে সহায়তার একটি বৃহত্তর কাঠামোর আওতায় এবার আরও ১ কোটি ২০ লাখ ডলারের অর্থসহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ২০১৯ সালে এই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় বাড়তি ব্যয় হবে প্রায় ৬ কোটি ডলার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads