• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
‘অর্থপাচার প্রভাব ফেলবে না অর্থনীতিতে’

‘অর্থপাচার প্রভাব ফেলবে না অর্থনীতিতে’

সংরক্ষিত ছবি

অর্থ ও বাণিজ্য

‘অর্থপাচার প্রভাব ফেলবে না অর্থনীতিতে’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচারের বিষয়টি সরকারের নজরদারিতে আছে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, দেশের অর্থনীতিতে অর্থপাচার প্রভাব ফেলবে না। অর্থপাচার ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, দুদকের মতো প্রতিষ্ঠানকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্ট্রিগ্রেটি-জিএফআইয়ের প্রতিবেদন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।

গত সোমবার ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা জিএফআই ২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৪৮টি দেশের অর্থপাচারের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে ২০১৫ সালের এক বছরেই বাংলাদেশ থেকে ৫৯০ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। পাচার হওয়া অর্থের বেশিরভাগই গেছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের আড়ালে। এছাড়া ১৫ সালের আগের ১১ বছরে পাচার হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকা। যদিও ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫-তে কিছুটা কমেছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, অর্থপাচার রোধে এরই মধ্যে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। আমার বিশ্বাস, কর্তৃপক্ষ যারা আছেন তারা বিষয়টি দেখছেন। ট্র্যাকিং করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের  ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট রয়েছে। ব্যাংকগুলোর ওপর নির্দেশনা আছে যে- ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার চেক পেলে জানতে চাইবেন কোথায় পেলেন ব্যাখ্যা দিন। নানাভাবে আমরা এগুলো করছি। 

অর্থপাচারের এমন চিত্রে উদ্বেগ জানিয়েছে টিআইবি। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা মনে করি সরকার যদি সক্রিয় উদ্যোগী হয়, যদি সৎ সাহস থঠমশ, তাহলে অবশ্যই কোনো ব্যক্তি পরিচয় বিষয় নয়। আর যদি অভিযান চালায়, তাহলে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনাসহ এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনবে।

ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, এশিয়ার ৩০টি দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ মালয়েশিয়া থেকে পাচার হয়েছে ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের বেশি। প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পাচার হয়েছে ৯৮০ কোটি ডলার।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads