বাংলাদেশে বেলজিয়ামের বিনিয়োগ চান ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) নেতারা। ভারতে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ফ্রাঁসোয়া ডেলহাইয়ের সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ওসামা তাসীর। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় সফররত রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ঢাকায় বেলজিয়ামের দূতাবাস চালু করতে রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ঢাকা চেম্বারের নেতারা। ঢাকা চেম্বারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
ডিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, সহসভাপতি ইমরান আহমেদ, বেলজিয়াম দূতাবাসের ইকোনোমিক কাউন্সিলর গিলেম শকে, ব্যবসা ও বিনিয়োগবিষয়ক কমিশনার হিউবার্ট গোফিনে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেলজিয়ামের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৮২ কোটি ১০ লাখ ডলারে। দুই দেশের বাণিজ্য আরো সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশে বেলজিয়ামের দূতাবাস খোলার আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর। তিনি এ সময় বলেন, ঢাকায় দূতাবাস খোলা হলে দুই দেশের জনগণের দ্রুততম সময়ে ভিসা প্রাপ্তিসহ অন্যান্য সেবা নিশ্চিত হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ রয়েছে। পাট ও পাটজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, জাহাজ নির্মাণ, ফার্মাসিউটিক্যাল, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া ও পাদুকা, তথ্যপ্রযুক্তি, হালকা প্রকৌশল, অবকাঠামো, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, বিশেষ করে সমুদ্রবন্দর ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে তিনি বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত এ সময় বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক সম্ভাবনাময় খাত রয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বন্দর স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা, ড্রেজিং, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষি ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে বিনিয়োগ করতে বেলজিয়ামের উদ্যোক্তারা আগ্রহী।
বাংলাদেশে বেলজিয়ামের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে চলতি বছরের শেষের দিকে বেলজিয়ামের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করবে বলেও এ সময় তিনি আশ্বাস দেন। বেলজিয়ামসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের বাজার সম্প্রসারণে ঢাকা চেম্বার থেকে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানোর প্রস্তাব দেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে গবেষণা ও উদ্ভাবন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেলজিয়ামের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে নতুন পণ্য উদ্ভাবনে গবেষণা পরিচালনা ও প্রযুক্তির সম্প্রসারণে সহায়তা দিতে পারেন। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করলে স্থানীয় জনগণের দক্ষতা বাড়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও বাজার সম্প্রসারণ সহজ হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
