• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
প্রাণকে ১১৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা ঋণ দেবে এডিবি

প্রাণের লোগো

সংগৃহীত ছবি

অর্থ ও বাণিজ্য

প্রাণকে ১১৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা ঋণ দেবে এডিবি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২১ মার্চ ২০১৯

এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে ১১৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা (১৪ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ সহায়তা পাচ্ছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিলভান এগ্রিকালচার লিমিটেড। কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং এর মাধ্যমে কৃষকদের আয় ও দক্ষতা বাড়াতে প্রাণ গ্রুপকে এ ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এডিবি।

রাজধানীর একটি হোটেলে গত মঙ্গলবার এডিবি ও প্রাণ গ্রুপের সিলভান এগ্রিকালচারের মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (কর্পোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী ও এডিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ক্রিস্টোফার থেইম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা ও বাংলাদেশে নিযুক্ত এডিবির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর চাই লিসহ দুই প্রতিষ্ঠানের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এডিবির দেয়া অর্থ পটেটো চিপস, পটেটো ফ্লেকস ও পাস্তা’র নতুন প্রোডাকশন লাইন নির্মাণে ব্যয় করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে। 

নতুন এ প্রকল্পে প্রায় ৪৫০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে, যার অর্ধেক হবেন নারী। এতে সরাসরি লিঙ্গবৈষম্য কমাতে ভূমিকা রাখবে।

এডিবির ইনভেস্টমেন্ট স্পেশালিস্ট (প্রাইভেট সেক্টর) তুশনা ডোরা বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নে কৃষি সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখে চলেছে। এ খাতে বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে; যার ফলে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ মানুষ কৃষি খাতের সুবিধা ভোগ করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কৃষি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশে প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগের অংশ হিসেবে সিলভান এগ্রিকালচারকে দ্বিতীয়বারের মতো এ ঋণ দিচ্ছে এডিবি। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে কয়েক হাজার কৃষকের জীবনমান উন্নত হবে এবং নারীরা এ কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজেদের দক্ষতা ও আয় বৃদ্ধির সুযোগ পাবেন।’

দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল হবিগঞ্জে অবস্থিত প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে পটেটো প্রসেসিংয়ের নতুন প্রোডাকশন লাইন চালু হলে প্রায় দুই হাজার চুক্তিবদ্ধ কৃষকের কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহ করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় আলুর নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন, কৃষি জমি বৃদ্ধি ও সিলভান এগ্রিকালচার হতে পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার মাধ্যমে কৃষকদের আয় ৫০ শতাংশ বেড়ে যাবে। এডিবির দেওয়া এ প্রকল্প কৃষি খাতে প্রাইভেট সেক্টরকে প্রথম দেওয়া ঋণের পুনঃসহায়তার অংশ।

এর আগে, ২০১২ সালে সিলভান এগ্রিকালচারকে লিকুইড গ্লুকোজ, কাসাভা থেকে স্টার্চ তৈরির প্রোডাকশন লাইন নির্মাণে ২৫ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দেয় এডিবি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads