• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
কোরবানির বাজারে আসছে ‘রাজকুমার’, দাম ১৫ লাখ টাকা

ছবি: বাংলাদেশের খবর

অর্থ ও বাণিজ্য

কোরবানির বাজারে আসছে ‘রাজকুমার’, দাম ১৫ লাখ টাকা

  • চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩১ জুলাই ২০১৯

অল্প পুঁজিতে কয়েকটি গরু নিয়ে খামার করে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছেন তরুণ উদ্যোক্তা বাদল। দৃঢ় মনোবল, কঠোর পরিশ্রমে মানুষের ভাগ্যের পরির্বতন ঘটায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন তিনি। রিকশা ছেড়ে নিরলস প্রচেষ্টা আর দৃঢ মনোবলে আজ তাকে সফলতার দ্বারে পৌঁছে দিয়েছে। চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নে দরবেশকাটা উত্তরপাড়া এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে আবু ওবাইদ বাদল।

বাদল জানান, সংসারের অসচ্ছলতার কারণে রিকশা চালিয়ে পরিবারের জীবন জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। আজ থেকে ৬ বছর আগে ২০১২ সালে এলাকার জনপ্রতিনিধি সোলতান আহমদ ও জাকের হোসেনের সার্বিক সহযোগিতা এবং তার বন্ধুদের কাছ থেকে ৪৪ হাজার টাকা ধার নিয়ে গরু কিনে ছোট পরিসরে গড়ে তোলেন গরুর খামার।

মানুষের কাছ থেকে ধারে নেওয়া টাকায় প্রথম খামারিতে গরুর বাছুর কিনে তা দিয়ে শুরু করেন জীবনের নতুন যুদ্ধের পদযাত্রা। বছরখানেক পর ওই গরু ২ লাখ টাকা বিক্রি করে সফলতা পান বাদল। এরপর বাদলকে আর পেছনের দিকে ফিরে তাকাতে হয়নি। পরিবারে সচ্ছলতা পূরণের জন্য ক্ষুদ্র পরিসরে খামার করে সরকারি কোনো ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহযোগিতা ছাড়াই আজ তা বাণিজ্যিক খামারে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ছোটবড় মিলে ২৭টি গরু রয়েছে তার ডেইরি ফার্মে। এর আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা। তার ডেইরি ফার্মটির দুগ্ধ খামার নামে এলাকায় বেশ পরিচিতি রয়েছে। তবে এবার কোরবানির পশুর হাট জমে ওঠার আগেই পুরো এলাকাজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে  বাদলের ‘রাজকুমার’। উপজেলায় কোরবানির পশুর মধ্যে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ বাদলের ডেইরি ফার্মে বেড়ে ওঠা রাজকুমার (ষাঁড়ের নাম)। এবারের কোরবানি ঈদে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করা হবে এক টন (২৭ মণ) অধিক ওজনের এ রাজকুমার ষাঁড়টি।  এবার কোরবানির ঈদে রাজকুমার কক্সবাজার জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি করেন খামারি বাদল। এবার কোরবানির ঈদের জন্য তাকে প্রস্তুত করা হয়েছে। খামারি বাদলের গরুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মচারী জানান, রাজকুমার শুধু নামে নয়, তার খাবার-দাবারও সাধারণ পশুর চেয়ে আলাদা। খড়, ভুষি ছাড়াও তাকে খাওয়ানো হয় আপেল, কমলা, মাল্টা, চিড়া, গুড়সহ নানা রকমের খাবার। খাওয়া বাবদ প্রতিদিন রাজকুমারের পেছনে খরচ হয় এক থেকে দেড়  হাজার টাকা।  খামারি আবু ওবাইদ বাদল বলেন, রিকশা চালানো ছেড়ে দিয়ে গরুর খামার করার পেছনে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়েছেন তার স্ত্রী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads