• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

অর্থ ও বাণিজ্য

দুই লাখ কোটি টাকা পড়ে আছে ৬৮ প্রতিষ্ঠানের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ ৬৮টি স্বশাসিত সংস্থার হিসাবে ২ লাখ ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা ‘অলস’ পড়ে আছে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রয়েছে। এখন এই সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য একটি আইনের খসড়া গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আইনটি চূড়ান্ত হলে ওইসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ব্যয়সহ প্রয়োজনীয় টাকা রেখে বাকি টাকা সরকারের কোষাগারে জমা নেওয়া হবে। বর্তমানে ওইসব প্রতিষ্ঠানের অর্থ ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছেই আছে।

গতকাল সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাসমূহের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান আইন, ২০১৯’ -এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি বলেন, মোট ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশি জমা টাকা আছে ২৫টি প্রতিষ্ঠানের কাছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের কাছে জমা আছে ২১ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। পেট্রোবাংলার কাছে ১৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কাছে আছে ১৩ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জমা টাকার পরিমাণ ৯ হাজার ৯১৩ কোটি। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) জমা টাকা আছে ৪ হাজার ৩০ কোটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী এই সংস্থাগুলোর পরিচালন ব্যয়ের টাকা তাদের নিজস্ব তহবিলে থাকবে। তারপর আপৎকালীন ব্যয়ের জন্য পরিচালন ব্যয়ের আরো ২৫ শতাংশ সংরক্ষণ করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানের পেনশন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাও রাখা যাবে। এরপর যে টাকা উদ্বৃত্ত থাকবে, সেটি সরকারি কোষাগারে জমা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানের টাকা আমানত হিসেবে নিয়ে বিনিয়োগ করছে দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক। বেসরকারি আমানত স্বল্পসুদে না মিললেও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত তুলনামূলকভাবে কম সুদেই বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রাখা হচ্ছে। একসময় সরকারি আমানতগুলোর ২৫ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকগুলো পেলেও সাম্প্রতিক তারল্য সংকট দূর করতে সরকারি আমানতের ৫০ শতাংশ পাচ্ছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads