• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
'ব্লাংক চেক দিয়ে বিশ্বব্যাংক বলেছে যত খুশি টাকা লিখে নাও’

ফাইল ছবি

অর্থ ও বাণিজ্য

'ব্লাংক চেক দিয়ে বিশ্বব্যাংক বলেছে যত খুশি টাকা লিখে নাও’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

উন্নয়ন কাজ ও বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ব্লাংক চেক দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ-ভুটান) মার্সি টেম্বনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ কথা জানান।

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ব্লাংক চেক দিয়েছে এমনটি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সংস্থাটি বলে আপনাদের প্রয়োজন মতো যত খুশি টাকা লিখে নাও। বাংলাদেশে অর্থায়নের ক্ষেত্রে আর কোনো লুকোচুরি থাকবে না।

দেশে ৮৮ শতাংশ ব্লু ইকোনোমি (সমুদ্র অর্থনীতি) কাজে লাগানোর লাগানোর সুযোগ রয়েছে। এ খাতে কাজ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

ডেল্টা প্ল্যান প্রসঙ্গে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, নেদারল্যান্ডের পাশাপাশি ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক এগিয়ে আসবে। এ খাতে অর্থ ও প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা দেবে। ফলে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে। ডেল্টা প্ল্যানে যদি ভারতও আসতে চায়, তবে স্বাগত জানাব।

সড়ক ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সড়ক ব্যবস্থাপনায় সব ধরনের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেবে। বাংলাদেশের সড়ক উন্নয়নে যত টাকার প্রয়োজন তত টাকা দেবে সংস্থাটি। সড়কে বাস-বে (যাত্রী ওঠা-নামার জায়গা বা স্টপেজ), সড়কের পাশে চালকদের জন্য বিশ্রামাগারসহ নানা উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। এসব দেখে প্রশংসা করেছে বিশ্বব্যাংক।

নতুন আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভায় নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করবে সংস্থাটি। বাংলাদেশের বিষয়ে সংস্থাটির ইতিবাচক ধারণা হয়েছে। আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্থাটি অর্থায়ন করতে উন্মুখ।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ-ভুটান) মার্সি টেম্বন বলেন, ‘আমি বাংলাদেশকে নিজেই চিনে নিয়েছি। সুন্দরবন ছাড়া বাংলাদেশের সকল স্থানে ঘুরেছি। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত সুবিধাসহ আর্থিক বিষয়ে ব্যাপক উন্নত হয়েছে। তিনি বলেন, নদী, পানি ও ব্লু ইকোনোমিতে বাংলাদেশকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। মূলত আমি বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে ব্র্যান্ডিং করতে এসেছি। ব্লু-ইকোনোমির ৮৮ শতাংশ কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads