• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনে যাচ্ছেন তিন মন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

অর্থ ও বাণিজ্য

ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনে যাচ্ছেন তিন মন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বাংলাদেশে হাই-টেক পণ্য উৎপাদন শিল্পে একের পর এক মাইলফলক অর্জন করে চলেছে দেশীয় স্বনামধন্য ব্র্যান্ড ওয়ালটন। দেশে ফ্রিজ, টিভি, এসি, স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, কম্প্রেসরের পর এবার এলিভেটর বা লিফটের মতো ভারী প্রযুক্তিসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন কারখানা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিকে আমেরিকায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে তৈরি স্মার্টফোন রপ্তানি করতে যাচ্ছে ওয়ালটন। দেশটির বাজারে অ্যাপল, সামস্যাং-এর মতো খ্যাতনামা গ্লোবাল ব্র্যান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটনের তৈরি স্মার্টফোন। পাশাপাশি রপ্তানি হচ্ছে বিপুল পরিমাণ এয়ার কন্ডিশনার।  জানা গেছে, ওয়ালটনের এই অগ্রগতি দেখতে একসঙ্গে দুই মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পরিদর্শনে যাচ্ছে।

আগামী ১ মার্চ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মুস্তফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক যাচ্ছেন ওয়ালটন কারখানায়। ওই দিন তারা ওয়ালটনের নবনির্মিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এলিভেটর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি উদ্বোধন করবেন। পাশাপাশি ওয়ালটনের তৈরি স্মার্টফোন আমেরিকায় রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। এছাড়া উম্মোচন করবেন ওয়ালটনের তৈরি অল-ইন-ওয়ান পিসি (পারসোনাল কম্পিউটার) এবং নিজস্ব উদ্ভাবিত টিভি অপারেটিং সিস্টেম আরওএস (রেজভি অপারেটিং সিস্টেম)।

বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স শিল্পখাতে ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করায় ওয়ালটনকে মুজিব বর্ষের অভিনন্দন জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সরকারের দেওয়া প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে নিজেদের চেষ্টায় এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। তাদের সাহসী উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নে বাংলদেশে এখন ফ্রিজ, টিভি, এসি, স্মার্টফোন থেকে শুরু করে আইটি পণ্য তৈরি হচ্ছে। এসব পণ্যের মাধ্যমে ওয়ালটন এ দেশের মানুষের ভালোবাসা অর্জনের পাশপাশি সেই ভালোবাসা ছড়িয়ে দিচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। বিশ্ব দরবারে ওয়ালটন বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করছে।

আমেরিকায় ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটনের তৈরি স্মার্টফোন রপ্তানি প্রসঙ্গে ডাক ও ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, ওয়ালটন ইলেকট্রনিক্স খাতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ভাবতেও পারিনি, আমাদের দেশে ল্যাপটপ তৈরি হবে, আমরা র্যামের ডিজাইন ও র্যাম তৈরি করব, মোবাইল সেট উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করতে পারা। ওয়ালটন তথা বাংলাদেশি একটি প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা পণ্য আমেরিকায় যাবে। আমেরিকার মানুষ তা হাতে নিয়ে ব্যবহার করবে।

এটা শুধু আমার জন্যই নয়, পুরো বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের। তিনি জানান, এতদিন তথ্য প্রযুক্তি পণ্য হিসেবে আমারা কেবল সফটওয়্যার ও সেবার কথা ভাবতাম। হার্ডওয়্যারের কথা ভাবিনি কখনো। ওয়ালটন প্রমাণ করল, বাংলাদেশ কেবল সফটওয়্যার ও সেবা নয়, হার্ডওয়্যারও বানানোর পাশাপাশি রপ্তানিও করতে পারে।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক জানান, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ইলেকট্রনিক্স পণ্য তৈরির কারখানা বাংলাদেশের ওয়ালটনের, এজন্য আমরা গর্বিত। দেশে এলিভেটর বা লিফটের মতো আমদানি বিকল্প হাই-টেক পণ্য উৎপাদন কারখানা স্থাপনে ওয়ালটনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান তিনি।   উল্লেখ্য, ওয়ালটন এসব প্রযুক্তিগত পণ্য উৎপাদনে এগিয়ে আসায় কমবে এ খাতের আমদানিনির্ভরতা। সাশ্রয় হবে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। বিকাশ ঘটবে দেশের

আরেকটি উদীয়মান শিল্পের এবং সৃষ্টি হবে আরো কর্মসংস্থান ও  দক্ষ জনশক্তি।

আর রপ্তানির জন্য ওয়ালটন পণ্য অর্জন করেছে ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস), স্ট্যান্ডার্ডস অরগানাইজেশন অব নাইজেরিয়া প্রোডাক্ট কনফরমিটি অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রামের টেস্টিং সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন মান সনদ। এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, জার্মানি তথা ইউরোপসহ বিশ্বের প্রায় ৩৫টি দেশে বর্তমানে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটন পণ্য।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads