• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
ব্যবসায়ীদের এক সাথে কাজ করতে হবে: এনবিআর

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

ব্যবসার খবর

ব্যবসায়ীদের এক সাথে কাজ করতে হবে: এনবিআর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৩ মার্চ ২০২১

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে। দেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ হয়েছে। এখন অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তাই দেশে ঘরে ঘরে উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। এ জন্য সব ধরনের সহয়োগিতা করবে এনবিআর। 

আজ বুধবার এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, দেশে শিল্প কারখানা তৈরি করতে হবে। এতে একদিকে দেশের জনগণ উপকৃত হবে অন্য দিকে সরকার। শহরের পাশাপাশি গ্রাম অঞ্চলেও শিল্পকারখানা তৈরি করতে হবে। 

এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, দেশের উন্নয়নে তৃতীয় লিঙ্গদের কিভাবে কাজে লাগাণো যায সেই বিষয়টি ভাবতে হবে। কারণ তাদের কাজে লাগাতে পারলে দেশে অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারবে এবং পাশাপাশি তাদের কর্মস্থানের ব্যবস্থা হবে। 

বাজেট প্রস্তাবে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ ( বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেছেন, তরুণদের উদ্যোগে অর্থায়নের জন্য বাজেটে বিশেষ তহবিল গঠন এবং সুষ্ঠু নীতিমালা প্রনয়ণের মাধ্যমে বিতরণ নিশ্চিত করা। বিনা জামানতে এবং সর্বনিম্ন সুদের ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা। এছাড়া ২০ কর্ম দিবসের মধ্যে সকল প্রকার ইউটিলিটি সংযোগ প্রদান এবং রেয়াতি হারে সংযোগ ও সরবরাহের সংস্থান করা। মাইক্রো, ক্ষুদ্র শিল্প ও তরুণ শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য নূন্যতম ৫ বছর কর অবকাশ প্রদান করা এবং পরবর্তিতে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা। 

বিসিআই সভাপতি বলেনে,  এছাড়া তরুণ শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য ট্রেড লাইসেন্সের ফি প্রথম পাঁচ বছর সর্বচ্চো ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা। কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানে শতকরা ৫ শতাংশ শারিরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের শ্রমিক নিয়োগ করলে বিশেষ কর সুবিধা দেয়া। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবার প্রায় ৬৪ শতাংশ সেবা বেসরকারি স্বাস্থ্য খাত হতে পাওয়া যায়। এই বেসরকারি খাতকে আধুনিক ও যুযোপযোগি করার জন্য পৃথম অর্থতৈনিক বাজেট প্রনয়নের জন্য সুপারিশ করা। বেজা, বিসিক ও অন্যান্ন সেক্টরে তরুণ শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ মূল্যে জমি বরাদ্দ রাখা। গবেষণা ও স্কিল ডেভল্পমন্টের জন্য সব ধরণের বিনিযোগ করমুক্ত রাখা। গুনগন মান সনদ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা নিশ্চিত করা। আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা করা। ক্ষুদ্র শিল্প এবং নারী উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে খাত ভিত্তিক যৌথ প্রতিষ্ঠানগুলিকে বন্ডেড-ওয়্যারহাউজ সুবিধা প্রদান করা। 

তিনি আরো বলেন, সকল রফতানি খাতে উৎস কর এবং করপোরেট কর হার সমতায়ন করে যথাক্রমে শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ ও ১০ শতাংশ হারে ধার্য্য করা। শিল্পখাতে আমদানি পর্যায়ে প্রদেয় আগাম কর হার ৪ শতাংশ হতে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করা। 

বাজেট প্রস্তাবে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাষ্ট্রিজ ( বিসিআই) সহ-সভাপতি ও ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী বলেছেন, বেসরকারি স্বাস্থ্যখাতে বাজেটে বিশেষভাবে নজর রাখার আহ্বান জানান তিনি। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো দেশের শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা খাতে অলাভজনক ও সেবামুলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর উপর ১৫ শতাংশ আয়কর ধার্য করা হয়েছে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা আর্থিকখাবে খরচ বহন করতে অসমর্থ। তাই ২০২১ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫ শতাংশ ধার্যকৃত আয়কর রোধ করার জন্য সুপারিশ করছি। 

সভায় এনবিআরের আয়কর, শুল্ক-ভ্যাট শাখার সদস্যসহ এনবিআর  বিসিআই 'র ঊর্ধ্বতনরা উপস্থিত ছিলেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads