• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

তথ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একপক্ষ, চলচ্চিত্র পরিবারের অপর পক্ষ

বাংলাদেশের খবর

বিনোদন

জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদযাপন

পৃথক আয়োজন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ এপ্রিল ২০১৮

পৃথক আয়োজনে পালিত হয়েছে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস’। চলচ্চিত্র স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি ও বিএফডিসি আলাদা আয়োজনে পালন করেছে দিবসটি। এ উপলক্ষে জাঁকজমক আয়োজন এবং তারকাদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে ওঠে বিএফডিসি প্রাঙ্গণ।

বিএফডিসির পক্ষে গতকাল সকাল ১০টায় বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর হোসেন, অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এফডিসি প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরি, চিত্রনায়ক রোশান, অভিনেতা নাদের চৌধুরীসহ এফডিসির কর্মকর্তারা।

উদ্বোধনী বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চলচ্চিত্র সমাজ বদলাতে সহায়তা করে। সমাজের নানা অনিয়ম-অপরাধকে তুলে ধরে মানুষকে সচেতন করে। যারা এখন সিনেমার সঙ্গে জড়িত তাদের উচিত, আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতিকে সতর্ক করা। এখন এই দুটি সমস্যা আমাদের অনেক যাতনা দিচ্ছে। চলচ্চিত্র হোক আগুন-সন্ত্রাস প্রতিহত করার হাতিয়ার।’

অন্যদিকে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠান শুরু করে চলচ্চিত্র স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি। সৈয়দ হাসান ইমামের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক ফারুক, ইলিয়াস কাঞ্চন, মিশা সওদাগর, জায়েদ খান, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার, চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিকসহ অন্যরা। পরে র্যালি করে এফডিসি থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা।

এ বিষয়ে সৈয়দ হাসান ইমাম বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ‘চলচ্চিত্র আজ ধ্বংসের পথে প্রায়। নানা চক্রান্ত ও অদক্ষতার কারণে আজকে এই অবস্থা দাঁড়িয়েছে।’

দিবসকেন্দ্রিক চলচ্চিত্র পাড়ার এ বিভক্তি খুব একটা ভালো চোখে দেখছেন না পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার। তিনি বলেন, ‘আশা করছি এই বিভক্তি আজকের পর থেকে আর থাকবে না। যারা সত্যিকার অর্থে আমাদের চলচ্চিত্রকে ক্ষতি করতে চায় তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করে আলাদা করতে চাই।’

এ থেকে কেউ আলাদা করে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হতে পারে। কেউ সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। ভবিষ্যতেও এর একটা প্রভাব ফেলানোর চেষ্টা কেউ কেউ করতে পারে। তবে এটি আমাদের কাছে এখনো পুরোপুরি পরিষ্কার না।’

এ ব্যাপারে মিশা সওদাগর বলেন, ‘এখানে অনেক বিষয় আছে। এগুলো নিয়ে এখন আর কথা বলতে চাই না। আমরা আমাদের মতো অনুষ্ঠান করছি।’

টক শো, সেমিনার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, রেড কার্পেট এবং সন্ধ্যায় চলচ্চিত্র শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সম্মাননা প্রদানের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে দিবসটি। ২০১২ সালের ৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ঘোষণা হওয়ার পর থেকে সফলভাবে পালিত হয়ে আসছিল দিনটি। চলচ্চিত্র জগতের অভিনেতা ও কলাকুশলীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন কর্মসূচিতে। তবে এবারই প্রথম দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পালিত হয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads