• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

আনন্দ বিনোদন

অলরাউন্ডার প্রিয়াংকা

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৮ এপ্রিল ২০১৮

প্রিয়াংকা জামান। নাচ, অভিনয়, আবৃত্তি, মডেলিং, উপস্থাপনা, ফ্যাশন ডিজাইন— সব ক্ষেত্রেই তার বিচরণ। সিটি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেছেন সবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করছেন। ফ্যাশন ডিজাইনে অনার্স করার প্রবল ইচ্ছা। শুরুটা হয়েছিল নাচের মাধ্যমে। আট বছর বয়সে বাফায় নাচ শিখতেন তিনি। বিভিন্ন করপোরেট এবং স্টেজ শো করেছেন অগণিত। বিটিভির ‘ছায়াছন্দ’ অনুষ্ঠান উপস্থাপনার মাধ্যমে টিভি পর্দায় অভিষেক হয় তার।

নাটক, শর্টফিল্ম এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন চিত্রেও কাজ করছেন তিনি। আরেফিন রুমির মিউজিক ভিডিও ‘এক পলকে’র মাধ্যমে নিজের অবস্থান জানান দেন প্রিয়াংকা। তৌসিফের ‘ভালোবাসা দাও’, বৃষ্টির ‘ভালোবেসে যাব’, কাজী শুভর ‘আবেগী মায়া’, ‘তুমি আমার’সহ বেশকিছু মিউজিক ভিডিওতেও কাজ করেছেন পর পর।

বড়পর্দায় আসার ইচ্ছা আছে কি না—জিজ্ঞেস করতেই কিছুটা ভাবুক হয়ে গেলেন তিনি। নীরবতা ভেঙে বলেন, ‘আপাতত চলচ্চিত্রে অভিনয় করার কোনো ইচ্ছা নেই। গত বছর থেকে বেশকিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু সেগুলো ফিরিয়ে দিয়েছি। আসলে কমার্শিয়াল ফিল্ম করার ইচ্ছা এখন আমার নেই। ভালো গল্পের আর্টফিল্ম পেলে অবশ্যই করব।’

নাচ শেখার সময়ই অভিনয়ে আসার ইচ্ছা ছিল তার। সে ইচ্ছা এখনো লালন করেন প্রিয়াংকা। আর্টফিল্মের যে কোনো চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতও রয়েছেন তিনি।

নতুন প্রজন্মের যারা মডেল হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে, তাদের তেমন কষ্ট করতে হচ্ছে না বলে স্বীকার করেন প্রিয়াংকা। বলেন, ‘আমি আসলে ছোটবেলা থেকেই শিখে এসেছি। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির বেশ বড় কিছু কাজ করেছি। তার জন্য আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। পরিশ্রম করেছি বলেই আজকে এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি।’

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? উত্তরে বলেন, ‘আমার ইচ্ছা আছে আমার জুনিয়রদের শেখানোর। আসলে শেখার কোনো শেষ নেই। আমি আমার সিনিয়রদের দেখে অনেক কিছু শিখেছি। সেই শেখাটা পরবর্তী প্রজন্মের যারা আসবে, তাদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। তার জন্য গ্রুমিং সেশন বা নাচের স্কুল করতে হলেও করব।’

মিডিয়ার কাজের বাইরে কী করেন? জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার নিজের একটি ফ্যাশন হাউজ আছে। কাজের ফাঁকে যতটুকু সুযোগ পাই সেখানে সময় দিই।’ অবসর সময়ে লেখালেখি করেন প্রিয়াংকা। আত্মবিশ্বাসী এ তরুণী সবকিছুর জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখেন সবসময়। যেকোনো পরিস্থিতি সামলে যান নিজের যোগ্যতা দিয়ে।

‘এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি এটাকে সাপোর্ট করি না। আর এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না।’ কাস্টিং কাউচ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেই সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি। কাস্টিং কাউচের মুখে পড়েছিলেন? পাল্টা প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘হ্যাঁ পড়েছি। সে সময় আমি আমার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ব্যাপারটা সামলে নিয়েছি। আমি গিভ অ্যান্ড টেকে বিশ্বাসী নই। যোগ্যতায় বিশ্বাসী। আমার মনে হয় এই ব্যাপারটি শুধু মিডিয়াতেই নয়, সব জায়গাতেই আছে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads