• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

আনন্দ বিনোদন

সঙ্গীত তাড়াহুড়োর জায়গা না

  • প্রকাশিত ০৩ মে ২০১৮

হাসান সাইদুল

আইয়ুব বাচ্চু। এলআরবির দলনেতা। একজন গীতিকার, সুরকার, গিটারিস্ট। তার শুরুটা ছিল খুবই কষ্টের। ৩০ টাকায় ভাড়া নিয়ে গিটার বাজাতেন। বর্তমানে তার ৩৯টা গিটার। তবুও ভাড়া করা গিটার জীবন্ত হয়ে আছে তার মনে। গত ৫ এপ্রিল এলআরবি পদার্পণ করেছে ২৮ বছরে।

২৭ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘১৯৯১ সালে আমরা যখন শুরু করেছিলাম তখন অনেকে আমাদের পাগল বলত। আজকে আমাদের এই সফলতার সমান ভাগীদার ১৮ কোটি মানুষ, যাদের ভালোবাসায় আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি। এ সময়টাতে অনেক আনন্দ, বেদনা, হাসি, কান্না, বাধা, সমস্যা কিংবা সফলতার প্রহর এসেছে। আছে অনেক ত্যাগ স্বীকারের গল্পও।’

শ্রোতারাই আমাদের প্রধান শক্তি উল্লেখ করে আইয়ুব বাচ্চ আরো বলেন, ‘এত বছর পর মনে হচ্ছে এখনো কিছু শিখতে পারিনি। শিখছি। শেখার শেষ নেই। সঙ্গীত তাড়াহুড়োর জায়গা না। শুধু শিখছি। গান গাই। গাওয়ার আগে শিখি।’

গিটার বাজানোর শুরু সম্পর্কে তিনি জানান, স্যানটানা আর রিচি ব্র্যাসকোর বাজানো দেখে তার গিটার বাজানোর প্রথম নেশা ধরে। গুরু আজম খানের লিড গিটারিস্ট নয়ন মুন্সীর বাজানোও তার অনুপ্রেরণা। তারপর নিজেই গিটার শেখা শুরু করেন। পরে বিভিন্ন ওস্তাদের কাছে গিয়ে গিটার রপ্ত করেছেন তিনি।

নতুন শিল্পীরা ভিউয়ারে তারকা হয়, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। বলারও কিছু নেই। আমি যখন শো করি, দর্শকরা আমার গান শোনে-দেখে, আনন্দ ফুর্তি করে। তারা আমার ভিউ। আমার দর্শক আমার শক্তি। অন্যরা কী করছে বা কী নিয়ে তারকা হচ্ছে এ বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই।

একটা যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেকটা জিনিসের কিন্তু পরিবর্তন হয়। আমরা শুধু পেছন দিকে চলে যেতে চাইছি যে, ওটা কেন আর হচ্ছে না। ওটা হওয়ার তো কথা নয়। আমার যে জামাটা আজকে পরে এসেছি, এ জামাটা হয়তো সামনের রোজার ঈদে আর নাও পরতে পারি। তার মানে এই নয়, ওটা বাজে ছিল।— আশি বা নব্বই দশকের বাংলা গান সম্পর্কে এমনটাই বলেন তিনি।

উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘আশি-নব্বইয়ের দশকে বড় তারকা ছিলেন, রকিবুল হাসান ছিলেন, আতাহার আলী খান ছিলেন, আকরাম খান ছিলেন, সুজন ছিলেন, এরকম অনেকেই ছিলেন। তারাও ভালো খেলতেন, কিন্তু সাকিব ছিলেন না। এসেছেন কয়েক দিন আগে। আবার কয়েক বছর পর থাকবেনও না। আশি নব্বই দশকে কিন্তু এরকম আরো অনেক কিছু ছিল না যেগুলো এখন আসছে, হচ্ছে। অনেক নাম, আমরা চিনি সবাইকে এক নামে। বড় বড় কোম্পানি আসছে, বড় বড় প্রতিষ্ঠান আসছে, বড় বড় করপোরেট আসছে।’

আপনার শেষ চাওয়া কী? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার একটাই চাওয়া, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সঙ্গীতশিল্পীরা যদি এক কাতারে এসে দাঁড়ান। তাহলে সবার একসঙ্গে বাঁচার একটি উপায় থাকবে হয়তো।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads