• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

আনন্দ বিনোদন

জামালপুরে গুণিজন সন্মাননা অনুষ্ঠান বর্জন

  • প্রকাশিত ০৭ মে ২০১৮

জামালপুর প্রতিনিধি

বিতর্কিত দুজনকে গুণিজন সন্মাননা দেওয়ায় শিল্পকলা গুণিজন সন্মাননা-২০১৭ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় চলছে। শনিবার রাতে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সন্মাননা অনুষ্ঠান বর্জন করে জেলার অধিকাংশ শিল্পী, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিককর্মীরা।

কণ্ঠসঙ্গীতে অজন্তা রহমান, নাট্যকলায় আবুল মুনসুর খান দুলাল, নৃত্যকলায় হাবিবুর রহমান জাহাঙ্গীর, যন্ত্রসঙ্গীতে ফজলুল করিম ও আবৃত্তিতে তরিকুল ফেরদৌসকে সন্মাননা দেওয়া হয়। আবৃত্তিতে তরিকুল ফেরদৌস ও নাট্যকলায় আবুল মনসুর খান দুলালকে গুণিজন সন্মানা দেওয়া নিয়ে সাংস্কৃতিককর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।  সিংহভাগ সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা ও সাংস্কৃতিককর্মীরা অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়ে গুণিজন সন্মাননা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া প্রধান অতিথি পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এবং আয়োজকরা।

টিআইবি সদস্য শিক্ষক সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, আবৃত্তি ও উপস্থাপনা একধরনের শিল্প। আবৃত্তিতে যোগ্য, প্রাজ্ঞ ও যাদের অতীত অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাদের হাতে আবৃত্তিতে গুণিজন নির্বাচনে বিচারকের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিল্পকলার নাট্য ও সাংস্কৃতিককর্মীরা বলেন, দেবজ্যোতি সেন শর্মাসহ অনেক গুণী আবৃত্তিকার থাকা সত্ত্বেও কালচারাল অফিসারের খাতিরের লোক হওয়ায় তরিকুল ফেরদৌসকে সন্মাননা পাইয়ে দিয়েছে। নাট্যকলাতেও একই ঘটনা ঘটেছে। সন্মাননা বাছাইয়ে অর্থ ও তদ্বিরের ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

এ ব্যাপারে জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমার একক সিদ্ধান্তে গুণিজন সন্মাননা বাছাই হয়নি। গুণিজন সন্মাননা বাছাইয়ে কমিটি করা হয়েছিল। কমিটির সিদ্ধান্তে সব হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads