• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

আনন্দ বিনোদন

বামবা চ্যারিটির কাজ করবে

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ মে ২০১৮

দেশের জনপ্রিয় ১১টি ব্যান্ডের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশন (বামবা)। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বামবা লাইভ চ্যাপ্টার ওয়ান’ নামে কনসার্ট। আগামীর পরিকল্পনা ও কার্যক্রম নিয়ে আনন্দ বিনোদনের সঙ্গে কথা বলেছেন বামবার সভাপতি হামিন আহমেদ

বামবার আয়োজনে কেমন সাড়া পেলেন?

প্রায় চার বছর পর কনসার্ট করল বামবা। এখানে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দর্শক এসেছে। এটা ছিল ইনডোর আয়োজন। সেজন্য নিবন্ধন করেছে এমন প্রথম পাঁচ হাজার দর্শক আসার সুযোগ পেয়েছে। তবে দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, জায়গা সঙ্কুলানের কারণে আমরা সব দর্শককে নিতে পারিনি। ওপেন এয়ার কনসার্ট হলে আরো ভালো হতো। সব মিলিয়ে অপূর্ব সাড়া মিলেছে।

ওপেন এয়ার কেন করেননি?

কয়েকটি কারণে ইনডোরে আয়োজন করতে হয়েছে। যদি ওপেন এয়ার আয়োজন করতাম, তবে অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ইনডোর দিয়েই শুরু করি। তাই শীতের আগ পর্যন্ত আমরা চাচ্ছি ইনডোরে আয়োজন করতে। আয়োজনে ১১টি ব্যান্ডের পরিবেশনাও ছিল খুব চমৎকার। এদিক থেকে বামবা শতভাগ সন্তুষ্ট। 

সারা দেশে কনসার্ট নিয়ে কী ভাবছেন?

আমাদের পরিকল্পনা আছে দেশের বিভিন্ন স্থানে কনসার্ট করব। পরবর্তী কনসার্ট হবে চট্টগ্রামে, ঈদের পর। আমরা এখনো ভেন্যু, তারিখ চূড়ান্ত করতে পারিনি। সেখানেও ইনডোরে আয়োজন করা হবে। শীত মৌসুমে বামবার ওপেন এয়ার কনসার্টগুলো হবে।

শেষ কনসার্টে তরুণদের উন্মাদনা কেমন অনুভব করলেন?

আমি মনে করি, এখনো তরুণদের মধ্যে উন্মাদনা ও উচ্ছ্বাস রয়েছে। শেষ কনসার্টে সেটা অনুভব করেছি। আর বামবা যখন যাত্রা শুরু করেছিল তখন এক প্রজন্ম ছিল, এখন আরেক প্রজন্ম তৈরি হয়েছে। ১৯৮৮ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে বামবার শোতে যেমন দর্শক বা তারুণ্যের উন্মাদনা দেখেছিলাম, সর্বশেষ কনসার্টটিতেও এক রকম মনে হয়েছে আমার কাছে।

ব্যান্ডের ঐতিহ্য ধরে রাখতে বামবার ভূমিকা কী?

বামবার যেটা করণীয় সেটাই কিন্তু করছে। যেমন- সারা দেশের শিল্পীদের মেধাস্বত্বের যে ব্যাপার, সেটা নিয়ে বামবা ওতপ্রোতভাবে গত আট বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। জনসম্মুখে হচ্ছে না, তাই বামবা নিয়ে কিছু ভ্রান্ত ধারণা থাকতে পারে। কিন্তু বামবার সদস্যরা নিয়মিত মেধাস্বত্বকে নিয়ে যে সংগ্রাম করে আসছে সেটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় বলে আমি মনে করি। কারণ এটা বাংলাদেশের শিল্পীদের মেধা ও অধিকার সুরক্ষার একটা ব্যাপার। ব্যান্ডের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে বামবা। এখন আমরা শোগুলোকে নতুন মাত্রা দিতে চাই। এটা সবে শুরু হলো। এটা সারা দেশে নিতে চাই এবং নিয়মিত করতে চাই। চ্যাপ্টার ওয়ান হয়েছে। এরপর টু, থ্রি, ফোর এভাবে নিয়মিত কনসার্টের আয়োজন করা হবে।

বামবার সদস্য হতে হলে কী করতে হবে?

বামবার সদস্য সংখ্যা এখন ২৮। নতুন সদস্য হতে গেলে বামবার ফেসবুক পেজে ইনবক্স করতে হবে। অথবা আমাদের সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ করতে হবে। কিছু রিকয়ারমেন্ট থাকতে হবে। বামবার সদস্য হতে গেলে ন্যূনতম কোয়ালিটি থাকতে হবে। যে ব্যান্ড আবেদন করবে, সেখানে ব্যান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে হবে। তাদের ছবি দিতে হবে, ব্যান্ডের কার্যক্রম জানাতে হবে। গান, অডিও অ্যালবাম করার তথ্য দিতে হবে। পরে অডিশন দিতে হবে। যাদের যোগ্যতা আছে তারা সদস্য হতে পারবে।

চ্যারিটি কনসার্টে বামবা অংশ নেবে কি?

ইউএনএসপির সঙ্গে শেষবার বামবা অনেক বড় কাজ করেছে। নারী সহিংসতার বিরুদ্ধে ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত কনসার্ট হয়েছিল ঢাকার আর্মি স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের আজিজ স্টেডিয়াম ও খুলনার স্টেডিয়ামে। এই কনসার্টগুলো হয়েছিল খুব বড় আয়োজনে। যেখানে যা প্রয়োজন হয়েছে, বামবা সেখানে সেভাবে কাজ করেছে। আর আগামীতে বামবা বড় চ্যারিটির জন্য কিছু কাজ করবে। এটা আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads