ইপসিতা শবনম শ্রাবন্তী। এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। অভিনয় জীবন ছেড়ে দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন তিনি। এবার ভাঙনের সুর উঠেছে তার সংসারে। গত ৭ মে শ্রাবন্তীর বগুড়ার বাসায় তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন তার স্বামী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থায় তালাকের নোটিশের কথা জানতে পেরেছেন শ্রাবন্তী। তারপর দুই মেয়েকে নিয়ে গত ২৫ জুন দেশে ফিরে আসেন তিনি।
তালাকের বিষয়ে গত শনিবার নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন শ্রাবন্তী। তিনি লেখেন— ‘কেন এমন করছ? দাও না আমাদের মাফ করে। একঘর দরকার নেই, কিন্তু এক ছাদের নিচে থাকি আমরা। বাচ্চাদের প্রতি একটু দয়া করো। তুমি তো প্রতিজ্ঞা করেছিলে, কখনো ছেড়ে যাবে না। এখন কেন ছেড়ে গেলে? আমাদের বাচ্চাদের ভাঙা পরিবারে বড় হতে দিও না। আমি তোমার কাছে হাত জোড় করে বলছি, আমাদের বাচ্চাদের মানসিকভাবে ভেঙে দিও না।’
জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর শ্রাবন্তীকে বিয়ে করেন মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। প্রায় ৮ বছরের সংসারে তাদের দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে রাবিয়াহ আলমের বয়স ৭ আর ছোট মেয়ে আরিশা আলমের সাড়ে ৩ বছর।
গত ২৬ মে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আর যৌতুকের মামলা করেছেন শ্রাবন্তী। তিনি অভিযোগ করেন, দেশে ফিরে আমি বনশ্রীতে আলমের বাসায় যাই। কিন্তু আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আলমও এখন পর্যন্ত আমার বা বাচ্চাদের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ করেননি। গত এপ্রিলে আলম যুক্তরাষ্ট্রে যায়। তখনো সে আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। সে আমাকে না জানিয়ে ব্যাংক থেকে ছয় হাজার ডলার তুলে নিয়ে আসে।
এদিকে, মালয়েশিয়া বসবাসকারী একটি মেয়ের সঙ্গে আলম পরকীয়া করছে বলে জানতে পেরেছেন শ্রাবন্তী। সে মেয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে সবকিছু জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতে কোনো রকম লাভ হয়নি শ্রাবন্তীর। বরং এসব নিয়ে কথা বলায় স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন শ্রাবন্তী।