• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
মুন সিনেমা হলের মালিককে দ্রুত ৯৯ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ

সুপ্রিম কোর্ট

সংরক্ষিত ছবি

আনন্দ বিনোদন

মুন সিনেমা হলের মালিককে দ্রুত ৯৯ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০২ জুলাই ২০১৮

সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর সঙ্গে যোগসূত্র থাকা রাজধানীর পুরান ঢাকার মুন সিনেমা হলের মালিককে অবিলম্বে ৯৯ কোটি টাকা পরিশোধ করতে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। অর্থ পরিশোধ না করলে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সংশ্লিষ্ট সবাইকে তলব করা হবে বলে হুশিয়ার করেছেন আপিল বিভাগ। আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত পরবর্তী শুনানি মুলতবি করা হয়েছে।

ছয় মাস আগে এই টাকা পরিশোধ করতে সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও তা করেনি ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে করা আদালত অবমাননার সঙ্গে নির্দেশনা চেয়ে ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস লিমিটেডের পৃথক আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে মুন সিনেমা হলের মালিকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি। সরকারপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

শুনানিতে সরকারপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সময় চাইলে আদালত ১২ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।

এর আগে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাট এলাকার মুন সিনেমা হলের মালিককে ৯৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টকে তিন কিস্তিতে এ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়। আদেশে বলা হয়, মুন সিনেমা হলের মালিক ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস লিমিটেডকে প্রথম কিস্তিতে দুই মাসের মধ্যে ২৫ কোটি টাকা, পরের দুই মাসের মধ্যে আরো ২৫ কোটি এবং বাকি টাকা আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে দিতে হবে।

আলোচিত মুন সিনেমা হলের মালিকানা ফিরে পেতে ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস লিমিটেড সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে। কারণ সামরিক ফরমানে জারি করা পরিপত্রে মুন সিনেমা হলের জমি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে শিল্প মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়। শিল্প মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দেয় মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টকে। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ও বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করেন। পরবর্তী সময়ে আপিল ও রিভিউতেও এই রায় বহাল থাকে। ফলে ইটালিয়ান মার্বেল কোম্পানির মুন সিনেমা হলের মালিকানা ফিরে পাওয়ার পথ সুগম হয়। এরই মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের নামে বরাদ্দ করা জমিতে মুন সিনেমা হল ভেঙে বহুতল মার্কেট গড়ে তোলা হয়েছে।

এর প্রেক্ষিতে গত বছরের ১৫ জানুয়ারি মুন সিনেমা হলের জমি এবং তার ওপর গড়ে তোলা বর্তমান স্থাপনার মূল্য নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে জমির মূল্য উল্লেখ করা হয় ৯৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads