• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ঘানার অর্কেস্ট্রাতে পশ্চিমা ক্লাসিক্যাল মিউজিক

গাইছেন ‘আক্রা সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা’র একজন শিল্পী

ছবি : ইন্টারনেট

আনন্দ বিনোদন

ঘানার অর্কেস্ট্রাতে পশ্চিমা ক্লাসিক্যাল মিউজিক

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৮ জুলাই ২০১৮

পশ্চিমা ক্লাসিক্যাল মিউজিককে নতুন আঙ্গিকে তুলে আনছে ‘আক্রা সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা’। তারা আশা করছে নতুন প্রজন্মের কাছে ক্লাসিক্যাল মিউজিকের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করতে পারবে। বিবিসির সংবাদদাতা গিয়েছিলেন কিভাবে ‘আক্রা সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা’ দর্শকদের মন জয় করছে কাদের আফ্রিকান এবং পশ্চিমা ক্লাসিক্যাল আর্ট ফরম দিয়ে। ‘আক্রা সিম্ফনি অকের্স্টা’র শিল্পীরা পশ্চিমা ক্লাসিক্যাল মিউজিকের সাথে আফ্রিকান গানের মিশেলে ফিউশন পরিবেশন করছেন।

পিছনে লাইভ স্ক্রিনে লেখা রয়েছে লিভ ইন পেইন। ‘আক্রা সিম্ফনি অকের্স্টা’ বর্তমানে ঘানার একমাত্র ব্যক্তিগতভাবে গড়ে তোলা অর্কেস্ট্রার দল। এই দলের মিউজিক পরিচালক বেনেডিকটাস বলেন, ‘অর্কেস্ট্রার প্রত্যেকটা স্তরের সন্নিবেশ করা হয়েছে এখানে। আমাদের সব ধরণের মিউজিকাল ইন্সট্রুমেন্ট আছে। আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুধু চর্চা করি যাতে করে স্টেজে পারফর্ম করার সময় সবকিছু একদম পারফেক্ট হয়। যেসব গান আমরা করি সেগুলো বেশির ভাগই পুরনো গান, আর সেই পুরনো গান যেগুলো মানুষজন এখনো শোনে। আবার অন্য অর্কেস্ট্রা যারা আগেই মিউজিকগুলো পরিবেশন করে ফেলেছে এমন কিছু থাকে। অর্থাৎ মূলত গানের প্রতি এটা আমার একটা ব্যক্তিগত অভিমত।

এখানে যারা শিখতে আসছে বা আগ্রহ প্রকাশ করছে তারা বেশির ভাগই নতুন প্রজন্মের কারণ তারা ফাইনালি একটা সুযোগ পাচ্ছে দেখানোর যে অন্যদের সাহায্য ছাড়ায় তারা কি করতে পারে। অনেকেই তাদের তিরস্কার করেছে, বলেছে এত কিছু থাকতে কেন তারা এসব করে সময় নষ্ট করছে।

অর্কেস্ট্রা দলের ভায়োলিন বাদক এভারলিন হারিস বলেন, ‘আমি আশা করি একদিন আমি বিশ্বসেরা ভায়োলিন বাদকদের মধ্যে একজন হতে পারবো। লন্ডনের ফিলহারমোনিক অর্কেস্ট্রা দলের সাথে হয়ত কোনো দিন একই অনুষ্ঠানে ভায়োলিন বাজাব ‘

‘আক্রা সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা’ মনে করে এখন পর্যন্ত অনেক মানুষের কাছেই তারা এই ক্লাসিক্যাল মিউজিকের ধারাকে পৌছে দিতে পেরেছে। মানুষ এখন এই মিউজিকের ধারা কে ভালোবাসতে শুরু করেছে বলে তারা মনে করেন। ড্যানিয়েল অ্যাকরঙ বলেন, ‘ছয় বছর হয়ে গেছে। এখন আমরা দেখতে পাই এর যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। তারা এখন অপেরার সাথে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে, তারা এখন বুঝতে শুরু করেছে অপেরার সব বিষয় সম্পর্ক ’।

সবকিছু যখন ভালই চললেও এখনো তাদের সামনে চ্যালেঞ্জ রয়েছে । চ্যালেঞ্জটা হল, মানুষজন মনে করছে ক্লাসিক্যাল মিউজিক পশ্চিমা সংস্কৃতি এবং আফ্রিকার সংস্কৃতির অংশ নয়। পরিচালক বেনেডিকটাস বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি এটাকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে যেতে’।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads