• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
আলোচনায় ঋতুপর্ণা

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

সংগৃহীত ছবি

আনন্দ বিনোদন

আলোচনায় ঋতুপর্ণা

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৫ জুলাই ২০১৮

রামিজ আলি আহমেদ, কলকাতা থেকে

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বার বার চরিত্রের প্রয়োজনে নিজেকে ভেঙেছেন তিনি। অভিনয়ের প্রতি তার ক্ষুধা এখনো নবাগত কাউকে হার মানায়। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত অভিনীত ‘গহীন হূদয়’ ছবিটি। অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত এ ছবিতে নিজেকে আবারো আলোচনায় নিয়ে এসেছেন ঋতুপর্ণা। আলোচনার অন্যতম কারণ- ছবিতে সহশিল্পীর সঙ্গে বেশ খোলামেলা অবস্থায় দেখা গেছে ঋতুপর্ণাকে।

পর্দায় দেখা যায় সোহিনী (ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত) স্বামীর (দেবশঙ্কর হালদার) কাছে কোনো যৌনসুখ পান না। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো অন্তরঙ্গ সম্পর্ক নেই। আর সেখান থেকেই সোহিনীর মনে একটা শূন্যস্থান তৈরি হয়। সেই ফাঁকা জায়গাটা পূরণ করতে স্বামীর বন্ধু অনুপম (কৌশিক সেন) এলো সোহিনীর জীবনে। অনুপম-সোহিনীর মধ্যে গভীর শারীরিক ও মানসিক সম্পর্ক তৈরি হলো। সোহিনী তার স্বামীকে ডিভোর্স দেবে বলে সব রকম ব্যবস্থা নিলেন। এ সময়ই তার স্বামীর ক্যানসার ধরা পড়ে। শুরু হলো সোহিনীর নতুন অধ্যায়। তারপর কী হয় তা নিয়েই ছবি।

পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় এক অতি বাস্তব সমস্যাকে তুলে ধরেছেন তার ছবিতে। সোহিনীর সমস্যা বহু মধ্যবিত্ত বাঙালি স্ত্রীর সমস্যা। তাদের সমস্যার কথা কেউ ভাবেন না। বাঙালি বধূরা পরকীয়া সম্পর্কে জড়ালে গেল গেল রব ওঠে। কিন্তু তার কারণ খোঁজার কেউ চেষ্টা করেন না। এ রকম একটা সাহসী বিষয়কে ছবির কাহিনী হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য পরিচালককে ধন্যবাদ জানাতেই হয়।

ছবিতে ঋতুপর্ণা ছাড়া অন্য কেউ সোহিনী চরিত্রটার এত গভীরে ঢুকতে পারতেন বলে মনে হয় না। চরিত্রের প্রয়োজনে তিনি কতটা সাহসী হতে পারেন তা বার বার দেখিয়েছেন। এবারো দেখালেন। সোহিনীর স্বামীর চরিত্রে দেবশঙ্কর হালদার ও স্বামীর বন্ধুর চরিত্রে কৌশিক সেন যথাযথ। আবহ সঙ্গীত এই ছবিতে একটা বড় ভূমিকা পালন করেছে। আবহ সঙ্গীত পরিচালক শুভায়ুকে ধন্যবাদ দেওয়া যেতেই পারে। পরিচালক ছবিটি সাদাকালোতে নির্মাণ করেছেন এবং মাঝেমধ্যে যে সিম্বলিকগুলো এনেছেন তাতে ছবিটি আরো বেশি পূর্ণতা পেয়েছে। ছবিটির বক্স অফিস কালেকশন যাই হোক না কেন, সমালোচকদের মনের গভীরে থেকে যাওয়ার মতো একটি ছবি ‘গহীন হূদয়’।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads