‘আমি আমার মা-বাবাকে নিয়ে একসঙ্গে থাকতে চাই। আমি ব্রোকেন ফ্যামিলি চাই না। তোমরা কি কিছু করতে পারো আমাদের জন্য?’ ছলছল চোখে এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বিজ্ঞ জজকে বলল ৭ বছরের রাবিয়া আলম।
বিজ্ঞ দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালত ঢাকা ইশরাত জাহান গতকাল দুই পক্ষের উপস্থিতিতে দীর্ঘ শুনানি সাপেক্ষে বিবাদী খোরশেদ আলমের ইপশিতা শবনম শ্রাবন্তীকে দেওয়া তালাকের নোটিশের কার্যক্রম পারিবারিক মোকদ্দমা ৬৬৯/১৮ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছেন— এমন তথ্যই জানা গেছে নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর ফেসবুক থেকে।
তিনি আরো বলেন, ‘অজস্র কৃতজ্ঞতা সৃষ্টিকর্তার প্রতি। পুরো প্রক্রিয়াটি করেছেন শ্রাবন্তীর পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট ফওজিয়া করিম ফিরোজ, ফিরোজা পারভীন লাকী এবং মলয় সাহা। দেশের আইন সত্যের পথে আছে। এই প্রথম জজ কোর্টে নিজের চোখে দেখলাম।’
শ্রাবন্তী ও খোরশেদ আলম দম্পতিকে একসঙ্গে দেখতে চান চয়নিকা চৌধুরী। ২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর ইপশিতা শবনম শ্রাবন্তীর সঙ্গে বিয়ে হয় মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের। এই দম্পতির ঘরে দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। গত ৭ মে শ্রাবন্তীকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন খোরশেদ আলম। তালাক নোটিশ পাওয়ার পর গত ২৫ জুন আমেরিকা থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি।