জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের ওপর নির্মিত হয়েছে তিনটি কাহিনীচিত্র। কাহিনীচিত্রগুলো হচ্ছে ‘কবি ও কবিতা’, ‘তখন পঁচাত্তর’ এবং ‘জনক ১৯৭৫’। সব কাহিনীচিত্র নির্মিত হয়েছে সহিদ রাহমানের ‘মহামানবের দেশে’ গল্প অবলম্বনে।
‘কবি ও কবিতা’ কাহিনীচিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেছেন পান্থ শাহরিয়ার। পরিচালনা করেছেন রোকেয়া প্রাচী। এতে অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল, এসএম মহসীন, লুসি তৃপ্তি গমেজ, শাহাদাৎ হোসেন নিপু ও একে আজাদ সেতু। এটি ১৫ আগস্ট চ্যানেল আইতে রাত ৮টায় প্রচার হবে।
‘তখন পঁচাত্তর’ নামের কাহিনীচিত্রটির চিত্রনাট্য করেছেন মিরন মহিউদ্দীন। পরিচালনা করেছেন আবু হায়াত মাহমুদ। এতে অভিনয়ে রাইসুল ইসলাম আসাদ, রুনা খান, এসএম মহসীন, শ্যামল মাওলা, ঊর্মিলা শ্রবন্তী কর, রাশেদ মামুন অপু, রামিজ রাজু ও হিন্দোল রায়। এটি ১৫ আগস্ট রাত ৮টায় আরটিভিতে প্রচার হবে।
‘জনক ১৯৭৫’ কাহিনীচিত্রের চিত্রনাট্য শাহীন রেজা রাসেলের। পরিচালনায় আজাদ কালাম। এতে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, তমালিকা কর্মকার, আরমান পারভেজ মুরাদ, শ্যামল মাওলা, মিজানুর রহমান ও নাফা। এটি ১৫ আগস্ট এটিএন বাংলায় রাত ৯টায় প্রচার হবে।
বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯৭৫ সালে যতটা প্রতিবাদ হওয়ার কথা ছিল সেভাবে হয়নি। তবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে প্রতিবাদ হয়েছিল। যেমন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্রনেতা ও এক কবি প্রতিবাদ মিছিল করেন। পরে তাদের জীবনে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। একটি সংবাদপত্রের সম্পাদক, গ্রামের একজন সাধারণ কৃষক, কিছু সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী যার যার অবস্থান থেকে মৃদু প্রতিবাদ জানায়। নোয়াখালীর এক তরুণ মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে বাসর রাতে বউকে ছেড়ে আসেন গ্রামের স্কুলশিক্ষকের ডাকে। কিন্তু তার আর বাসর হয় না। সেনাবাহিনীর নির্যাতনে সংসারের রঙিন স্বপ্ন ভেঙে যায় নববধূর। আরেকটি প্রতিবাদ গড়ে উঠেছিল ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা সীমান্ত অঞ্চলের আদিবাসী গারো সম্প্রদায়ের দ্বারা। প্রতিবাদের শাস্তিস্বরূপ নিরীহ গারোদের ওপর সেনাবাহিনী অমানবিক নির্যাতন চালায়। এই ঘটনাগুলোই কাহিনীচিত্রগুলোর উপজীব্য।