• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
৩২৩ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা

সংগৃহীত ছবি

আনন্দ বিনোদন

চলচ্চিত্র শিল্পে পুনর্জাগরণের উদ্যোগ

৩২৩ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব

  • প্রকাশিত ০২ অক্টোবর ২০১৮

জাহিদুল ইসলাম

১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বর্তমানের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (বিএফডিসি)। এরপর ঢাকায় চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরু হলেও দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে সোনালি ঝলমলে অধ্যায় ৭০ থেকে ৮০ দশক। ওই সময় রেকর্ডসংখ্যক ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। সময়ের ব্যবধানে এফডিসিতে চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রবণতা কমে এসেছে। কমেছে প্রেক্ষাগৃহ ও দর্শকসংখ্যা। মৃতপ্রায় চলচ্চিত্র শিল্পকে উজ্জীবিত করতে বড় প্রকল্প নিচ্ছে সরকার। প্রকল্পটির আওতায় বহুতল এফডিসি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। কমপ্লেক্সে স্থাপন করা হবে চারটি থ্রিডি অত্যাধুনিক সিনেপ্লেক্স। নির্মাণ করা হবে ৭৩ হাজার ৪৬৯ বর্গমিটার শুটিং ফ্লোর। ৩২২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয় ধরে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হচ্ছে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সভার আলোচ্যসূচির তালিকায় ১২তম অবস্থানে রয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত প্রকল্পটি। এ প্রকল্প একনেকের অনুমোদন পেলে তা বাস্তবায়ন করবে বিএফডিসি। ২০২১ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে।

সূত্র জানায়, তথ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রস্তাবের বিষয়ে ইতোমধ্যেই প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার আয়োজন করেছে পরিকল্পনা কমিশন। সভার সুপারিশের আলোকে প্রস্তাবটি পুনর্গঠন করে তা আবারো কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সদস্য মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শেষ হলে চলচ্চিত্র শিল্পের ভিত্তি সুদৃঢ় হবে। আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হবে বিএফডিসি। তা ছাড়া ভবনে বাণিজ্যিক সুবিধা বাড়ানোর মাধ্যমে বিনোদন ও আয়ের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে। এসব কিছু বিবেচনায় প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বর্তমানে চলচ্চিত্র শিল্পের বিরাজমান মহামন্দা থেকে গৌরবময় সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে বিএফডিসি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আওতায় নির্মিতব্য ভবনে নানা রকম কারিগরি ও আধুনিক সুবিধা স্থাপন করা হবে। ‘গ্রিন বিল্ডিং’ ধারণার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ভবনটিতে ছাপ থাকবে হাতিরঝিল প্রকল্পের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের।

এর আওতায় স্থাপন করা হবে ডিজিটাল প্রজেক্টর ও উন্নত সাউন্ড সিস্টেমসমৃদ্ধ চারটি সিনেপ্লেক্স। বর্তমানে বসুন্ধরা সিটি ও যমুনা ফিউচার পার্কে এ ধরনের চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে। বিএফডিসির সিনেপ্লেক্সে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে বিনোদনের নতুন দিক উন্মোচন হবে। দর্শক প্রেক্ষাগৃহমুখী হলে বাড়বে চলচ্চিত্র নির্মাণের হার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads