• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
শিশুদের জন্য একটা চ্যানেল দরকার ছিল

শিশুরা যেন একমাত্র শিশুতোষ চ্যানেলে একের ভেতর সব প্রাপ্তিতে দুরন্তমুখী হয়েছে

সংগৃহীত ছবি

আনন্দ বিনোদন

শিশুদের জন্য একটা চ্যানেল দরকার ছিল

  • প্রকাশিত ১১ অক্টোবর ২০১৮

রাফিউজ্জামান রাফি

স্যাটেলাইটের এই সময়ে আমাদের আর কিছুর অভাব থাকলেও টিভি চ্যানেলের কিন্তু অভাব নেই। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রমাণ সংখ্যক টিভি চ্যানেল রয়েছে। তাতে টক শো, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, রিয়েলিটি শো, নাটক, সিনেমার গানসহ আরো কত অনুষ্ঠান যে প্রচার হচ্ছে, তার ইয়ত্তা নেই। যদিও এত চ্যানেল থাকা সত্ত্বেও এখনো আমাদের একটি অংশ স্টার প্লাস, স্টার জলসার প্রতি বিশেষ দুর্বলতা বোধ করেন। তার পরও বলব আমাদের চ্যানেলগুলো প্রাপ্তবয়স্কদের বিনোদন নেওয়ার নির্ভরযোগ্য সোর্স হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিক থেকে বলা যায় চ্যানেলগুলো আমাদের বড়দের বিনোদনের অভাব অনেকটাই পূরণ করেছে। তবে বড়দের অভাব পূরণ করলেও আমাদের শিশুদের বিনোদনের অভাবটা কিন্তু রয়েই গিয়েছিল। দেশীয় চ্যানেল ঘুরে বাচ্চারা যখন কিছু না পেয়ে বাধ্য হয়ে বিদেশি চ্যানেলে টম অ্যান্ড জেরি, গোপাল ভাঁড় কিংবা ডোরেমনে মেতে উঠত। ফলে এদেশের বাচ্চারা, বলতে গেলে এদেশের চ্যানেল বিমুখই ছিল। কেননা, এদেশের চ্যানেলগুলোয় শিশুতোষ অনুষ্ঠান বলতে গেলে সপ্তাহ কিংবা মাসে এক দিন মিনা কার্টুন ব্যতীত উল্লেখ করার মতো কিছু ছিল না। কিন্তু প্রয়োজন যার প্রতিদিন তার কী আর সপ্তাহ বা মাসে দুই-একদিনে চলে। ফলে বাচ্চারা যেন নিয়মিত বিদেশি চ্যানেলগুলোর দর্শক হয়ে পড়ল।

তবে বছর খানেক হলো ‘আমাদের বাচ্চারা বিনোদনের জন্য বিদেশি চ্যানেলে ঝুঁকে পড়েছে’ কথাটা অতীতকালে পরিণত হয়েছে। কেননা তারা তাদের উপযোগী একটি বিনোদনের দেশি মাধ্যম পেয়েছে। আর তা হলো বাংলাদেশের একমাত্র শিশুতোষ টিভি চ্যানেল ‘দুরন্ত টেলিভিশন’। দুরন্ত টেলিভিশন সম্প্রচারের পর থেকেই শিশুরা যেন একমাত্র শিশুতোষ চ্যানেলে একের ভেতর সব প্রাপ্তিতে দুরন্ত গতিতে দুরন্তমুখী হয়েছে। দুরন্ত টিভির টিআরপিতে শীর্ষ অবস্থানই তার প্রমাণ। ক্ষুদে দর্শকদের মন জয় করতে দুরন্তও যেন শুরু থেকেই সদা তৎপর। তারা ক্ষুদেদের জন্য সাজিয়েছে গল্প শেষে ঘুমের দেশে, মা বাবাই সেরা, দুরন্ত সময়সহ বিভিন্ন শিশুতোষ অনুষ্ঠান। আর বাচ্চাদের সর্বক্ষণের সঙ্গী কার্টুন তো রয়েছেই।

ফলে ক্ষুদেরাও যেন তাদের প্রাপ্যটাই তাদের দিচ্ছে। যে বাড়িতে বাচ্চা আছে সে বাড়ির টিভির দিকে নজর দিলেই দেখা যায়, চলছে দুরন্ত টিভির লোগো সংবলিত চ্যানেলটি। দুরন্ত শুধু বাচ্চারাই লুফে নিয়েছে তা কিন্তু না। বাচ্চাদের এই প্রাপ্তিতে বাচ্চাদের বাবা-মা তথা বড়দের মাঝেও দুরন্ত টিভির প্রশংসা শোনা যায়।

আজকাল ইউটিউবের আগ্রাসনে টিভি দেখা হয় না বললেই চলে। তারপরও চারদিকে সবার মুখে মুখে ‘দুরন্ত টিভিটা ভালো’, ‘এটি বাচ্চাদের জন্য বিনোদনের উপযুক্ত মাধ্যম হয়েছে’ এসব শুনে আমারও কৌতূহল হচ্ছিল দুরন্ত নিয়ে। সেই কৌতূহল নিবারণে বসেছিলাম কয়েকদিন দুরন্ত টিভির সামনে। ভালোই লাগল। বাচ্চাদের দুরন্ত টিভির ফ্যান কারণও খুজে পেলাম। দেখতে দেখতে এক বছর কেটে গিয়েছে দুরন্ত টিভির দুরন্ত যাত্রার। জনপ্রিয়তা হূাস পায়নি, বরং বৃদ্ধি পেয়েছে। দুরন্ত টিভি এভাবেই এগিয়ে যাক, আমাদের ক্ষুদেদের মানসিক বিকাশে সহায়তা করুক।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads