• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
বুলবুল ভাই অফিসে এলে দাঁড়িয়ে থাকতাম

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল

সংরক্ষিত ছবি

আনন্দ বিনোদন

বুলবুল ভাই অফিসে এলে দাঁড়িয়ে থাকতাম

  • আবদুল আজিজ
  • প্রকাশিত ২৫ জানুয়ারি ২০১৯

বুলবুল ভাই আমার খুব বেশি রকমের শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। চলচ্চিত্রে উনার মতো খুব কম লোকই আছেন যাকে মন থেকে এ রকম শ্রদ্ধা করি। একটা উদাহরণ দিই, আমার অনেকগুলো সিনেমার গীতিকার ও সুরকার উনি। বুলবুল ভাই অফিসে এলে আমি দাঁড়িয়ে থাকতাম, উনি না বসা পর্যন্ত বসতাম না। আর উনিও আমাকে অনেক বেশি রকমের আদর করতেন। আর আদর করতেন বলেই শেষ কিছু বছর উনি আমার অনেকগুলো সিনেমার গান করেছেন।

আমি সবাইকে বলতাম যে, আমরা এখন হয়তো বুলবুল ভাইকে যথাযথ মূল্যায়ন করছি না, কিন্তু ৫০ বছর পর উনি হয়তো আবদুল আলিম, হাসন রাজা এই পর্যায়ে ওঠে যাবেন বা তারও উপরে। বছরের অন্য সময় দেখা হোক বা কাজ হোক আর না হোক, প্রতি রোজার ঈদে উনার বাসায় যেতাম, সালাম করতাম, অনেকক্ষণ গল্প করতাম।

এক ঈদের দিনে উনার মুক্তিযুদ্ধের সময়ের কিছু গল্পও বলেছিলেন। তখন বলেছিলাম, উনার মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা নিয়ে সিনেমা বানাতে চাই। বুলবুল ভাই রাজি হলেন এবং গল্প লিখবেন বলে নিশ্চিত করলেন। পরে অনেকবার কথা হয়েছে। লিখি, লিখছি, ব্যস্ত বলে সময় চলে গেল। কাজটা আর শেষ হলো না। এভাবে হঠাৎ চলে যাবেন ধারণা ছিল না। উনার আসলে দেশের জন্য আরো অনেক কিছু দেওয়ার ছিল। বুলবুল ভাই, আপনার সঙ্গে আমার আরো অনেক কাজ বাকি রয়ে গেল।

বুলবুল ভাইয়ের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয় ৭-৮ দিন আগে। উনি কলকাতা যাবেন, যে হোটেল বুকিং করেছেন, শেষ মুহূর্তে তারা বুকিং বাতিল করার কারণে, সমস্যায় পড়ে যান। আমাকে হোটেল ঠিক করতে বলেন। আমি আমাদের নিয়মিত হোটেলে বুকিং করে দিই। আর হোটেলে বলে দিই, উনি আমাদের দেশের খুবই সম্মানিত মানুষ, উনাকে যথাযথ সম্মান করতে। বুলবুল ভাই ঢাকা ফিরে এসে আমাকে ফোন করেছিলেন, ধন্যবাদ দিলেন। বলেছিলেন— হোটেল খুব ভালো। উনাকে অনেক সম্মান ও আতিথেয়তা করেছে।

বুলবুল ভাই সম্পর্কে লিখতে গেলে আমার লেখা শেষ হবে না। পরে আরেক সময় স্মৃতিকথাগুলো লেখব। মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে গেছে, আর লিখতে পারছি না। বুলবুল ভাই, আপনি যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads