টিভি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঊমির্লা শ্রাবন্তী কর। ২০০৯ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখলেও প্রতিভার গুণে মডেলিং-অভিনয়ে সমান ঔজ্জ্বল্য ছড়াচ্ছেন এ অভিনেত্রী। এরই মধ্যে বিয়েও করেছেন। কিন্তু মিডিয়ায় তার উপস্থিতি এক বিন্দুও কমেনি। বরং বিয়ের পর নতুন উদ্যমে কাজ করছেন তিনি। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে—
নাটকে ব্যস্ততা—
বতর্মানে অসুস্থতার কারণে ছোট্ট একটা ব্রেক নিয়েছি। এর আগে বেশকিছু ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছি। ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে এনটিভিতে তিনটি, এটিএন বাংলায় দুটি, চ্যানেল আইতে একটি, মাছরাঙায় দুটি ও এশিয়ান টিভিতে একটি ধারাবাহিক প্রচার হচ্ছে। এ ছাড়া সাইদুর রাসেলের ‘অষ্টধাতু’, জুয়েল মাহমুদের ‘দ্য পাবলিক’ ও সকাল আহমেদের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি ধারাবাহিক প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে। চলতি ধারাবাহিক নাটকগুলোর মধ্যে চয়নিকা চৌধুরীর ‘নীল রঙের ভালোবাসা’, সৈয়দ শাকিলের পরিচালনায় দুটি ধারাবাহিক ‘সোনার শিকল’ ও ‘প্রেমনগর’, মুশফিক কল্লোলের ‘সম্পর্ক’, নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের ‘কাগজের ফুল’, শাখাওয়াত মানিকের ‘মেঘে ঢাকা শহর’, শাহজাদা মামুনের ‘শুকনো পাতার নূপুর’, শহীদুজ্জামান সেলিমের ‘একঝাঁক মৃত জোনাকির গল্প’, জাহিদ হাসানের সঙ্গে ‘ডন’, ‘হুলুস্থূল’ উল্লেখযোগ্য।
ধারাবাহিকে অভিনয়—
ধারাবাহিক নাটকে কাজ করলেও খুব গুছিয়ে করছি। প্রতিটি ধারাবাহিকে আমাকে কেন্দ্র করে গল্প আবর্তিত হচ্ছে। তাই প্রতিটি চরিত্রেই ভিন্নতা রয়েছে। তা ছাড়া শুটিং শিডিউল ঠিক রাখতে আমি সবসময় সচেষ্ট থাকি। এখন পর্যন্ত কোনো পরিচালককে সমস্যায় ফেলিনি।
নাটকে চরিত্র—
প্রতিনিয়ত অনেক স্ক্রিপ্টই আসছে আমার কাছে। চেষ্টা করছি ভালো গল্পের নাটকগুলোতে কাজ করার। বিশেষ করে আমার চরিত্রের প্রতি আমি মনোযোগ দিচ্ছি। দর্শকের যেন একঘেয়েমি না লাগে, সেটা ভেবেই মন দিয়ে কাজ করছি। নিজেকে ভাঙা যায় এমন চরিত্রগুলোই করার চেষ্টা করছি। আশা করছি নতুন বছরে আমাকে আরো ভালো কিছু কাজে দেখতে পাবেন দর্শক।
নাটকে দর্শকপ্রিয়তা—
আসলে সব নাটক দর্শক দেখতে পারে না। কারণ এত চ্যানেল এত নাটক, এর ফাঁকে কিন্তু অনেক ভালো নাটক চলে যায়। তবে এখনকার সময়ে কোনো নাটক টিভিতে প্রচারের সময় দেখার সুযোগ না পেলেও তা ইউটিউবে দর্শক ঠিকই দেখতে পারেন। সেদিক থেকে বললে বলতে হয়— দর্শক এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি নাটক দেখতে পারছেন। আবার অনেক নাটক হওয়ার ফলে নিম্নমানের নাটকও হচ্ছে বেশ। তবে যে নাটকটা ভালো, সেটা ঠিকই দর্শকের কাছে যেভাবেই হোক পৌঁছে যায়। দর্শক আগের চেয়ে নাটক অনেক বেশি দেখে। কারণ নাটক দেখার অনেক মাধ্যম এখন আছে। যদি দর্শক না দেখেই থাকে, তাহলে ইউটিউবে একেকটি নাটকের ভিউয়ারস লাখ লাখ হতো না।
গানের প্রতি দুর্বলতা—
আমি ছোটবেলা থেকেই গান শিখেছি। রবীন্দ্রসঙ্গীতের ওপর ছায়ানট থেকে ডিপ্লোমা করেছি। তাই রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রতি আমার বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে। ইচ্ছা আছে গান নিয়ে আমার কিছু একটা করার। এটা আমার অন্যরকম এক ভালো লাগার বিষয়।