• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
পহেলা বৈশাখে নিশিতা বড়ুয়ার মেঘলা আকাশ

নিশিতা বড়ুয়া

সংগৃহীত ছবি

আনন্দ বিনোদন

পহেলা বৈশাখে নিশিতা বড়ুয়ার মেঘলা আকাশ

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ মার্চ ২০১৯

নতুন গান নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছেন কণ্ঠশিল্পী নিশিতা বড়ুয়া। আসছে পহেলা বৈশাখে ‘মেঘলা আকাশ’ শিরোনামের গানের ভিডিওটি প্রকাশ পাবে।

সম্প্রতি নতুন গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন নিশিতা। এর কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন জুলফিকার জাহেদী। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অভিষেক ব্যানার্জী। গানটিতে শিল্পীর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন কলকাতার কণ্ঠশিল্পী অভিজিত সরকার। এ প্রসঙ্গে নিশিতা বড়ুয়া বলেন, আমি সব সময় গানের কথা ও সুরের দিকে বেশি নজর দিই। ‘মেঘলা আকাশ’ গানটি খুব ভালো লেগেছে। গানটির রেকর্ডিং আমরা কলকাতায় স্বনামধন্য একটি স্টুডিওতে যত্ন নিয়ে করেছি। গানের কথা ও সুর এতটাই মনোমুগ্ধকর যে, শ্রোতাদের মনে স্থান করে নেবে। নিশিতা বড়ুয়া জানান, খুব শিগগিরই গানটির শুটিং হবে ভারতের দার্জিলিংয়ে। আর মিউজিক ভিডিওটি প্রকাশ পাবে পহেলা বৈশাখে।

নিশিতা বড়ুয়া ২০০৬-এর ক্লোজআপ ওয়ান দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছিলেন। ‘যার ছায়া পড়েছে মনেরই আয়নাতে’, ‘রংধনু ভালো লাগে, নীল আকাশ ভালো লাগে’ গানগুলো দিয়ে তিনি সে সময় শ্রোতার মন জয় করে নেন এবং ব্যাপক পরিচিতি পান। গানের জগতে আসার বিষয়ে নিশিতা বলেন, ‘তখন অনেক ছোট। পড়ালেখাও শুরু হয়নি। বয়স বলতে গেলে ৪ বছর। আমার ছোট কাকু সুমির বড়ুয়া তপু, তার থেকেই গান শেখা শুরু। যেসব গান জনপ্রিয় সেসব গান তিনি সব সময় আমাকে শেখাতেন। বিভিন্ন স্টেজে নিয়ে গেলে আমাকে যেভাবে সেখানো হতো আমি সেভাবেই গানগুলো উপস্থাপন করতে পারতাম। সবাই অনেক প্রশংসা করতেন। এরপর গানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য কুমিল্লায় শ্রাবণী সাহার গানের স্কুলে আমাকে ভর্তি করিয়ে দেন। উনি আমাকে গানের বিভিন্ন বিষয়সহ উচ্চাঙ্গসঙ্গীত শেখান। আমার বাড়ি চট্টগ্রাম হলেও জন্ম কুমিল্লায়। ক্লাস সিক্স পর্যন্ত ওখানেই ছিলাম। ততদিন ওই শ্রাবণী সাহার কাছেই শিখতাম। তারপর দার্জিলিং চলে গেলাম। তখন দুই বছরের একটা বিরতি পড়ল। যখন চট্টগ্রামে ফিরে আসি তখন ওস্তাদ মিহির লালার কাছে আমি আবার তালিম নেওয়া শুরু করি।’

এখনকার গানের প্রতিযোগিতাগুলো সেভাবে দর্শক টানছে না। এ বিষয়ে নিশিতা বলেন, ‘এখন আসলে প্রতিযোগিতাগুলো অনেক বেশি হচ্ছে। যেকোনো বিষয়ে প্রথমে যে আকর্ষণ থাকে পরে আর সেরকম থাকে না। আমি মনে করি সেই আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য আরো মাধ্যম বাড়ানো উচিত। নতুন নতুন কিছু বিষয় সংযোগ করা উচিত। এই ব্যাপারগুলো যারা অর্গানাইজ করছেন, প্রযোজক যারা আছেন তাদেরই আসলে নিজেদের চিন্তা করে বের করা উচিত কীভাবে মানুষকে আকর্ষণ করানো যায়। আমরা অনেকেই দেশের বাদ দিয়ে দেশের বাইরের কম্পিটিশনের শোগুলো দেখছি। যেটা হয়তো আমাদের আকর্ষণ করছে বলেই দেখছি। জানি না আমার বলা ঠিক হচ্ছে কি না, তবে আমাদের দেশে যারা এই প্রতিযোগিতাগুলো প্ল্যানিং করছেন তাদের চিন্তাধারায় নতুন নতুন কিছু আনা উচিত বলেই আমার মনে হয়।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads