• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
কিশোর চ্যাটার্জিকে খুঁজে পেলেন কুমার বিশ্বজিৎ

কিশোর চ্যাটার্জি ও কুমার বিশ্বজিৎ

সংরক্ষিত ছবি

আনন্দ বিনোদন

কিশোর চ্যাটার্জিকে খুঁজে পেলেন কুমার বিশ্বজিৎ

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ মার্চ ২০১৯

নব্বই দশকের শুরুর দিকে চিরসবুজ কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের একক অ্যালবাম ‘দীর্ঘশ্বাস’ প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবামের বিশেষত বাঙালি চেতনা সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়ায় ‘একতারা’ গানটি সেই সময় থেকে আজ অবধি যেন বাংলাদেশের বিশেষ বিশেষ দিবসের গান হিসেবেও বিবেচ্য হয়। গানটি প্রকাশের সময় তাতে গীতিকার এবং সুরকার হিসেবে সংগ্রহ লিখে প্রকাশ করা হয়। অবশেষে সঙ্গীতশিল্পী সমরজিতের অনেক কষ্টে ও চেষ্টায় এই গানের গীতিকার এবং সুরকারকে খুঁজে পাওয়া গেল।

সমরজিতের পরিচিত হলেন কলকাতার অধীর দাস। অধীর দাসেরই পরিচিত হলেন একতারা গানের সুরকার কিশোর চ্যাটার্জি। অধীর জানতেন যে কিশোর দীর্ঘদিন যাবৎ কুমার বিশ্বজিতের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিলেন। অবশেষে সমরজিতের মাধ্যমে কিশোরের কুমার বিশ্বজিতের সঙ্গে দেখা হয়। কুমার বিশ্বজিতেরই নিমন্ত্রণে কিশোর গানটির স্বত্ব দিতে ঢাকায় এসেছিলেন। গানটি লিখেছেন লক্ষ্মীকান্ত রায়। কিশোর সুর করার পর দূরদর্শনে আশির দশকের শুরুতে একবার একটি শিশু গানটি গেয়েছিল।

কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই আমি এই গানের গীতিকার সুরকারকে খোঁজার চেষ্টা করেছি। কারণ গানের সুরকার, গীতিকারের নাম ব্যবহার করা এটা তাদেরই প্রাপ্য, অধিকার। দীর্ঘদিন পর এভাবে সুরকারকেও খুঁজে পাওয়ার ঘটনা সত্যিই বিরল। কিশোরদার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, তিনি আমার ডাকে সাড়া দিয়ে ঢাকায় এসেছেন, আমাকে সময় দিয়েছেন। আমাকে নতুন গানও দিয়েছেন। এখন আমি একতারা গানটি নিয়ে কপিরাইট আইনে যাব। দেশের বিভিন্ন সাইটে গানটি প্রকাশ করা আছে। তাদের অনুরোধ আমার নিজ দায়িত্বে গানটি নামিয়ে ফেলার জন্য।’

কলকাতার নৈহাটির সন্তান কিশোর চ্যাটার্জি বলেন, ‘কিশোরদার এই গানটি যখন শুধু বাংলাদেশেরই নয় সারা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয়তা পায় তখন থেকেই তার সঙ্গে আমি যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার কোনো উপায় ছিল না। অবশেষে দাদার সঙ্গে দেখা হলো। একতারা গান পেল পূর্ণতা।’ কিশোরের কথা ও সুরে বিশ্বজিৎ প্রেমিকাকে নিয়ে মেলা সংক্রান্ত একটি গানসহ বাকুড়া অঞ্চলেরও একটি গান করবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads