• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

ছবি : সংগৃহীত

ফিচার

যেভাবে এলো গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস

  • প্রকাশিত ২২ এপ্রিল ২০১৮

বন্ধুদের সঙ্গে শিকারপার্টিতে গিয়েছিলেন স্যার হিউ বিভার। পার্টির স্বভাবসুলভ আলোচনায় একসময় মেতে উঠলেন সবাই। তবে কথা বলতে বলতেই একসময় স্যার হিউ বন্ধুদের সঙ্গে তর্কযুদ্ধে নেমে গেলেন। যুদ্ধের বিষয়, ইউরোপের সেরা গেম বার্ড কোনটি- গোল্ডেন প্লোভার, নাকি গ্রস। কারো মতামতই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ইংল্যান্ডের মদ বানানোর প্রতিষ্ঠান আর্থার গিনেস ও সন অ্যান্ড কোম্পানির স্বত্বাধিকারী বিভার। কোনো সমাধানে আসতে না পারায় অবশেষে বই-পুস্তকের খোঁজে নামলেন তিনি। তবে কোনো বইতেই তথ্যটি পেলেন না। ১৯৫১ সালের ৪ মে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনাই হিউ বিভারের মাথায় আইডিয়াটির জন্ম দিল- ‘এমন একটি বই প্রকাশ করলে কেমন হয়, যেখানে সংকলিত হবে শুধুই নানা বিষয়ের রেকর্ড।’

১০৭, ফ্লিট স্ট্রিট। লন্ডনের এ অফিস থেকেই ১৯৫৫ সালের ২৭ আগস্ট প্রকাশিত হয় গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রথম সংখ্যা। পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল ১৯৮। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত যৌথভাবে এটি সম্পাদনা করেন যমজ ভাই রস ও নোরিশ ম্যাকওয়েরটার। প্রকাশের দিনই বইটি কেনার জন্য হামলে পড়ে উৎসাহী পাঠকরা। ক্রমবর্ধমান চাহিদায় ১৯৭৫ সালে গিনেস বুক প্রকাশিত হয় আমেরিকা থেকে। বিক্রির হারও অবিশ্বাস্য- ৭০ হাজার কপি! ওই বছর বড়দিন উপলক্ষে কেনাকাটার সঙ্গে এ বইটিও উপহার ও কালেকশনের জন্য ছিল সাধারণ মানুষের প্রথম পছন্দ। এই অসামান্য সাফল্যে মুগ্ধ হয়ে প্রকাশক হিউ বিভার মন্তব্য করেন, ‘অর্থ উপার্জনের জন্য প্রকাশিত হয় না গিনেস বুক; বরং এর প্রধান লক্ষ্য রেকর্ডকে বিশ্বের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া।’ এই দারুণ জনপ্রিয়তার কারণে সংকলনটি ঘিরে শুরু হয় মাতামাতি। তৈরি হয় অনেক টিভি অনুষ্ঠানও। শুরুর মালিকানা বদলে গেছে কয়েকবার। এখন গিনেস বুকের মালিকানা জিম পেটিসন গ্রুপের হাতে। রিপ্লে এন্টারটেইনমেন্ট গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড নামে গ্রুপের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান গিনেসের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। একদল উদ্যমী কর্মী কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানটিতে, যাদের দায়িত্ব কোথাও কোনো রেকর্ডের খোঁজ পেলে সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে সেখানে হাজির হওয়া এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিশ্বরেকর্ড হিসেবে তাকে স্বীকৃতি দেওয়া। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস হলো রেকর্ড ভাঙার কৃতিত্ব তালিকাভুক্ত করার সর্বজন স্বীকৃত কর্তৃপক্ষ। তথ্যভিত্তিক এই সংকলনে থাকে মানুষ ও প্রাণীর গড়া নানারকম রেকর্ড। বেশিরভাগই বিচিত্র। ২৮টি ভাষায় লিখিত এবং ভিডিও ফরম্যাটে গিনেস বুক প্রকাশিত হয় ব্রিটেন থেকে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads